চার্চিল ব্রাদার্স: ০
মোহনবাগান: ৩ (পাপা, সুহের, তুরসুনভ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ডিসেম্বরে নিজেদের ঘরের মাঠে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে মুথ থুবড়ে পড়েছিল মোহনবাগান। চলতি আই লিগে ওই একটিই দল, যাদের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন কিবু ভিকুনার ছেলেরা। তাই বুকের ভিতর একটা জ্বালা রয়েই গিয়েছিল। সেই জ্বালাই শনিবার মেটালেন গঞ্জালেজরা। গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে প্লাজাদের নাকানি-চোবানি খাইয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
চলতি আই লিগে মোহনবাগান (Mohun Bagan) আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলকে কি দেখতে অনেকটা একইরকম লাগছে। বাগান ভক্তদের উত্তর কিন্তু ‘হ্যাঁ’। টুর্নামেন্টের অনেক ম্যাচ বাকি থাকলেও ১৩ ম্যাচ শেষে রীতিমতো ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে মোহনবাগান। একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাঞ্জাব এফসি ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে। তাই বিরাট কিছু অঘটন না ঘটলে এবারের আই লিগের রং কী, তা আন্দাজ করতে খুব একটা কষ্ট হবে না।
[আরও পড়ুন: ট্রাই-সাইকেলে যেতেন খেলা দেখতে, জীবনযুদ্ধে হেরে আত্মহত্যা মোহনবাগান সমর্থকের]
গতবারের সাক্ষাতে দুরন্ত ফর্মে দেখিয়েছিল চার্চিল স্ট্রাইকার প্লাজাকে। বাগান ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে দুটি গোল দিলেও চার-চারটি গোল হজম করতে হয়েছিল গঙ্গাপারের ক্লাবকে। তাই এদিন একেবারে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই মাঠে নামের বেইতিয়ারা। লড়াইয়ে টিকে থাকতে যে সর্বশক্তি দিয়ে চার্চিল ঝাঁপাবে, তা ভালই জানতেন ভিকুনা। তবে টানা জয়ের মধ্যে থাকা মোহনবাগান ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসের কাছেই যেন হার মানলেন প্লাজারা। শুরুতেই বেইতিয়ার ফ্রি-কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পাপা দিওয়ারা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান ভিপি সুহের। এদিন পরিবর্ত হিসেবে নেমে সফল দলের নয়া বিদেশি কামরান তুরসুনভও। গুরজিন্দরের ক্রস থেকে বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি তিনি।
শেষদিকে আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হয় বাগান। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলমুখ খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে চার্চিলও। কিন্তু বাগান ডিফেন্স ভাঙতে পারেননি স্ট্রাইকাররা। আর সেই সৌজন্যেই অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট ঘরে তুলল ভিকুনাবাহিনী।
১৩ ম্যাচ ৩২ পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে বাকি দলগুলির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নে নতুন করে জল ঢেলে দিলেন গঞ্জালেসরা।
The post মধুর প্রতিশোধ, চার্চিলকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দোরগোড়ায় মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.