সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে খুন করেছে স্কুলের বাস কন্ডাক্টর। এর পিছনে যে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে তা ভেবেই পাননি সিবিআই গোয়েন্দারা। অথচ পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে কন্ডাক্টর তা স্বীকার করেছেন। খটকা সেখানেই। যৌনতার যে প্রসঙ্গ পুলিশ তুলে ধরেছিল তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ফলে তদন্তের প্রকৃতি বদলে নতুন করে ভাবা শুরু গোয়েন্দাদের। আর তাতেই উঠে এল নির্মম সত্যি। আসলে রায়ান স্কুলে হত্যাকাণ্ডে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। অত্যাচার করে নেওয়া হয়েছিল বয়ান। এবার সে কারণেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার পথে কন্ডাক্টরের আইনজীবী।
[ প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা দিন, ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ]
ইতিমধ্যেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে। জেরা করতে গিয়ে রীতিমতো ঠাণ্ডা মাথার এক খুনির সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। স্রেফ পরীক্ষা পিছোতে আর শিক্ষক-অভিভাবক মিটিং এড়াতেই বাচ্চাটিকে খুন করেছে সে। কিন্তু প্রভাবশালীর পুত্র হওয়ায় পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতায় ‘ফাঁসানো’ হয়েছিল নির্দোষ কন্ডাক্টরকে। যদিও সত্যি গোপন থাকেনি। নিহত প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের মা-বাবার আরজিতে সিবিআই পুরো ঘটনার তদন্তভার নয়। তারপরই নতুন মোড় নেয় এই ঘটনা। জানা যায়, পুলিশই একাদশ শ্রেণির ছাত্রটিকে বাঁচাতে গল্প সাজিয়েছিল। অত্যাচার করেই বয়ান নেওয়া হয়েছিল নির্দোষ কন্ডাক্টরের। পুলিশি তদন্তের একাধিক অসঙ্গতি স্পষ্ট হয়েছে। এমনকী হরিয়ানা বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে কোনও আইনজীবী কন্ডাক্টরের পক্ষে লড়াই করতে না পারেন আদালতে। এসব সামনে আসতেই, প্রশাসন-পুলিশ-স্কুল কর্তৃপক্ষর অসাধু যোগাযোগের চক্র ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে। এবার এসবের বিরুদ্ধে পালটা মামলার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নির্দোষ কন্ডাক্টরের আইনজীবীর।
[ টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তীতে কর্ণাটক জুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ, কড়া প্রশাসন ]
অশোক কুমারের পক্ষে আইনজীবী মোহিত বর্মা জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের অপেক্ষা করছেন তিনি। তারপরই পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেভাবে নির্দোষ অশোক কুমারকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে, অত্যাচার করে বয়ান নেওয়া হয়েছে, তার জন্য মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। তবে এখন প্রশ্ন, নাবালক বলে কি অল্প সাজা পেয়েই ছাড়া পেয়ে যাবে একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি? যেরকম হিমশীতল স্নায়ুতে সে খুন করেছে, তা দাগী অপরাধীদেরও হার মানাচ্ছে। উপরন্তু যেভাবে নির্দোষ কন্ডাক্টরকে পুলিশ ও প্রশাসন মিলে ফাঁসিয়েছে তাও এই মামলাকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে অপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই দেখার। তদন্তে উঠে আসছে আরও একটি তথ্য। সম্ভবত অপর একটি ছাত্রও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছে। খুনি ছাত্রটিকে জেরা করেই তার হদিশ মিলবে।আপাতত এই ছাত্রকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরই পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্রীয় গোয়্ন্দা সংস্থা।
[যে কোনও পরিস্থিতিতে ২০১৮-র মধ্যেই হবে রাম মন্দির, ঘোষণা VHP-র ]
The post নির্মম অত্যাচার, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নির্দোষ কন্ডাক্টরের appeared first on Sangbad Pratidin.