সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাভোলকর হত্য়া মামলায় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে তুলোধোনা করল আদালত। শুক্রবার রায়দানের পর সিবিআই ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার বিশ্বাসযোগ্য়তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে দিল পুণের বিশেষ ইউএপিএ কোর্ট।
গতকাল সমাজকর্মী তথা যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকর (Narendra Dabholkar) হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্ত শরদ কালাসকর এবং শচীন আন্ডুরেকে দোষী সাব্যস্ত করে পুণের বিশেষ UAPA আদালত। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১১ বছর পর আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পান অন্য ৩ অভিযুক্ত ড. বীরেন্দ্রসিংহ তাওড়ে, সঞ্জীব পুনালেকর এবং বিক্রম ভাবে। এর পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে তুলোধনা করে আদালত বলে, "দাভোলকর হত্য়া মামলায় আসল মাথাদের আপনারা ধরতে পারলেন না কেন? আপনারা কী এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছেন নাকি এর পিছনে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত হয়েছে?"
এদিনের রায়ে বিচারক পিপি যাদব বলেন, "ঠান্ডা মাথায় দাভোলকরকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল। কালাসকর ও আন্ডুরে তো শুধুমাত্র ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছে। এই দুজনের যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে আমাদের পর্যবেক্ষণ, এরা এই খুনের মাস্টারমাইন্ড নয়। সিবিআই ও পুণে পুলিশ দুজনেই ব্যর্থ এই মাস্টারমাইন্ডদের খুঁজতে।"
পেশায় চিকিৎসক তথা কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নরেন্দ্র দাভোলকরকে ২০১৩ সালের ২০ অগস্ট গুলি করে খুন করা হয়। এই খুনের পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যুক্তিবাদী ওই চিকিৎসক মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন। সেসময় প্রকাশ্যেই তাঁকে গুলি করা হয়।
ওই ঘটনার পর এক দশক টানাপোড়েন চলেছে। ২০২২ সালে মামলার মূল দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন ঘটনার সাক্ষী কিরণ কাম্বলে। তিনি পুণে পুরসভার সাফাইকর্মী। ওই ঘটনার সময় অদূরেই কাজ করছিলেন কিরণ। শরদ কালাসকর এবং শচীন আন্ডুরে দাভোলকরকেই গুলি চালিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানান কিরণ। ওই দুই অভিযুক্তকেই শেষ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।