সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছর ধরে কোম্পানির অসুস্থতাকালীন ছুটিতে এক কর্মী। বছরে ৫৫ লক্ষ টাকারও বেশি বেতন পকেটে পুরছেন। তবুও তাঁর মনে ক্ষোভ সংস্থার বিরুদ্ধে। কারণ এত বছরে একবারও তাঁর পারিশ্রমিক বাড়েনি। সংস্থা তাঁর সঙ্গে একপেশে ব্যবহার করেছে। আর সেই অভিযোগেই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলেন এক আইটি কর্মী। কোম্পানির নাম আইবিএম (IBM)। কর্মচারী ইয়ান ক্লিফোর্ড। আদালত অবশ্য দু’পক্ষের যুক্তি-তর্কই শুনেছে। শেষ পর্যন্ত রায় দিয়েছে সংস্থার পক্ষেই।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ‘সিক লিভ’-এ আছেন ইয়ান। গত ১৫ বছর ধরে তিনি অসুস্থ। তাই অফিসে আসতে পারেন না। তাঁর লিঙ্কডইন প্রোফাইল বলছে, ২০১৩ সাল থেকে তিনি ‘মেডিকালি রিটায়ার্ড’। অথচ সেই ইয়ানেরই অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর বেতন বাড়ছে না। প্রসঙ্গত, কাজ না করে, অফিসে না গিয়েও ইয়ান টাকার অঙ্কে কোম্পানি থেকে (আইবিএমের হেল্থ প্ল্যান অনুসারে) ৫৫,৩০,৫৫৬ টাকা বেতন পান। কোম্পানি থেকে এও বলা হয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ওই বেতন পাবেন। কিন্তু ওই বেতনে খুশি নন তিনি। তাঁর দাবি, আরও বেশি বেতন পাওয়ার যোগ্য তিনি। কারণ মুদ্রাস্ফীতির এই যুগে এই অঙ্কের বেতনে জীবন কাটানো যায় না।
[আরও পড়ুন: চেন্নাইকে হারিয়েও বিপাকে নাইটরা, শাস্তির মুখে কেকেআরের গোটা টিম]
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইয়ান ‘সিক লিভ’-এর নিয়ম অনুযায়ীই চলেন। এর পর কোম্পানি তাঁকে বলে কাজের চুক্তিপত্র কিছুটা রদবদল করে নিতে। কোম্পানি তাঁকে আশ্বস্ত করে, এতে তার চাকরি যাবে না, তিনি বেতনও পাবেন। কারণ এই প্ল্যানে কোনও কর্মী অক্ষম হয়ে পড়লে তাঁর চাকরি চলে যায় না। তিনি কর্মী হিসাবেই থাকেন, যদিও কাজ করার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না। ইয়ান তার পর সেই প্ল্যানেরই আওতাভুক্ত হন।
আচমকাই ২০২২ সালে বেতন বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আদালতে যান ইয়ান। তাঁর বক্তব্য ছিল, যে কর্মীরা কাজ করতে পারছেন না তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াটা এই প্ল্যানের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে তা হচ্ছে না। যদিও আদালত এই যুক্তি মানতে চায়নি। বিচারক হাউসগো জানিয়েছেন, ইয়ান দীর্ঘ সময় ধরে ব্যতিক্রমী নানা ধরনের সুবিধা এমনিতেই পাচ্ছেন। কোম্পানির প্ল্যানে তাঁর প্রতি কোনও পক্ষপাত করা হয়নি।