ভিভিএস লক্ষ্মণ: আফগানিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতার মাত্র সত্তর শতাংশ খেলেছে ভারত। কিন্তু তার পরেও আফগানিস্তান ম্যাচটা কষ্টেসৃষ্টে আর দ্বিতীয় ম্যাচটা অনায়াসে জিততে কোনও অসুবিধে হয়নি। এর কারণ একটাই, বিরাট কোহলির বোলিং আক্রমণ।
বিরাটের হাতে চার-চার জন এমন বোলার আছে যারা কি না উইকেট নিতে পারে। উইকেট নিয়ে তারা খেলাকে নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়ার মতো একজন ফিফথ বোলার আছে টিমে। যে উইকেটও নেয়, আবার খুব বেশি রানও দেয় না। আর আছে মহম্মদ শামি! উফ! ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে শাই হোপকে যে বলটায় ও বোল্ড করল, অবিশ্বাস্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওটাই ম্যাচের সেরা ডেলিভারি। হোপকে বোল্ড করার ডেলিভারিটায় শামির সিম মুভমেন্ট দেখার মতো ছিল। যে পিচটায় খেলা হয়েছিল, সেখানে বোলারের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না। ভেবে দেখুন, শামির ছন্দ আর জেদ কোন জায়গায় আছে?
[আরও পড়ুন: বোল্টের হ্যাটট্রিকের দিনও নয়া রেকর্ড করে নজর কাড়লেন স্টার্ক]
তবে এটা অবশ্যই বলব, ব্যাটিং একটা চিন্তার জায়গা টিমের। শিখর ধাওয়ান বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় ভারতীয় ব্যাটিং এখন অনেকটাই বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার উপর নির্ভরশীল। কেএল রাহুল গত তিনটে ম্যাচেই দারুণ শুরু করেছে, কিন্তু তর পর সেট হয়ে আউট হওয়ার অপরাধ করেছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করার পরেও রাহুল পারেনি সেটাকে বড় রানে পাল্টে দিতে। কেদার যাদব, ওকে এখনও খুব নড়বড়ে দেখাচ্ছে। ছন্দে আছে বলে একেবারে মনে হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: নয়া ইনিংস, এবার অভিনয়ে জগতে পা রাখছেন যুবরাজ]
বিজয় শংকরও দু’টো বড় সুযোগ স্রেফ নষ্ট করল। বিরাট কোহলির সঙ্গে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল ও। কিন্তু প্রচণ্ড হতাশা ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ দিকে স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে বল-রান সমান সমান প্রায় করে ফেলেছিল ধোনি ঠিকই, কিন্তু ইনিংসের শুরুতে যে প্রচুর বল নষ্ট করেছে সেটা ধোনি সবার আগে স্বীকার করবে। সত্যি বলতে কী, হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়টা না থাকলে ভারত বিপদে পড়ে যেতে পারত। তাই বার্মিংহ্যামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ কিছু জায়গা আছে, যার দিকে নজর দিতে হবে ভারতকে। আমি তো বলব, ব্যাটসম্যানরা কোহলিকে দেখে শিখুক। ভারত অধিনায়ক যে সব সময় পজিটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে চলে, তার প্রমাণ ওর ফুটওয়ার্ক। ডিফেন্স করার সময়ই হোক কিংবা স্ট্রোক খেলার সময়, কোহলির পায়ের নড়াচড়া থাকে দেখার মতো। আফগানিস্তান ম্যাচে বিরাটের ক্যাপ্টেন্সি দেখেও আমি মুগ্ধ হয়েছি। ওর ফিল্ড প্লেসমেন্ট, বোলার পরিবর্তন, দু’টোই দেখার মতো ছিল।
রবিবার ভারতের সুযোগ রয়েছে চাপে থাকা ইংল্যান্ডকে আরও গাড্ডায় ঠেলে দিয়ে নিজেদের দাপট দেখানোর। দেখতে চাই, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুরমুশ হওয়ার পর ওরা আত্মবিশ্বাসে ঠাসা ভারতীয় টিমের কী ভাবে মহড়া নেয়।
The post ইংরেজদের বিরুদ্ধে দুর্বল মিডল-অর্ডারই চাপে রাখবে ভারতকে appeared first on Sangbad Pratidin.