আলাপন সাহা, পুণে: চোট-আঘাত ভারতীয় দলের কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার চোটের তালিকায় নাম লেখালেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। ম্যাচের মাঝে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর, তাঁকে স্ক্যান করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে ম্যাচের বয়স তখন ৮ ওভার। সেই ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হার্দিককে পরপর দুটি চার মারেন লিটন দাস (Litton Das)। আর এর পরেই ঘটল অঘটন। চতুর্থ বল হাত থেকে বেরোনোর আগেই পা পিছলে ক্রিজে লুটিয়ে পড়েন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) তারকা অলরাউন্ডার। দৃশ্যতই তাঁকে হতাশ দেখাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চলে আসেন ভারতীয় দলের ফিজিও। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হার্দিক বল হাতে ওভার শেষ করার চেষ্টা করলেও, পারলেন না। খোঁড়াচ্ছিলেন। আর তাই তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে বলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।
প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন হার্দিক। তিনটি বল করেছিলেন। তারপরই চোট পান। ওভারের বাকি তিন বল করেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ভারতীয় দলের তরফ থেকে হার্দিকের চোট নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি। তবে চোটের ধরণ দেখে ক্রিকেট পণ্ডিতদের দাবি তাঁর চোট গুরুতর হতে পারে। আর সেটা হলে কাপ যুদ্ধের অভিযানে যে সেটা বড় ধাক্কা হবে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
[আরও পড়ুন: অনন্য রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও শুভমানের মুখে রোহিতের জয়গান]
তাঁর বলে স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন লিটন। সেই বল পা দিয়ে আটকাতে গিয়েছিলেন হার্দিক। সেই সময় পড়ে যান তিনি। হার্দিকের পায়ের উপর তাঁর পুরো শরীরের ওজন পড়ে গিয়েছিল। তাতেই চোট লাগে তাঁর। এই ম্যাচে (CWC 2023 IND vs BAN) আর বল করতে পারবেন কি না তা জানা যায়নি। সেই সময় ওভারের তিনটি বল বাকি ছিল। বিরাট সেই তিনটি বল করেন।
গোড়ালিতে মোচড় লাগার সঙ্গেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন তিনি। আর দাঁড়াতে পারেননি। শুয়ে পড়েন মাঠে। অবস্থা বেগতিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে দলের ফিজিও মাঠে দৌড়ে আসেন। তিনি হার্দিককে স্প্রিন্ট করাতে থাকেন এবং চোট পরীক্ষা করতে থাকেন। এরপর চোটের জায়গায় তিনি মোটা করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত হার্দিক আর নিজের ওভার শেষ করতে পারলেন না। তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিরাট হাত ঘোরালেও, হার্দিকের মতো ম্যাচ উইনার চোট পেতেই ভারতীয় দলের চিন্তা কিন্তু বেড়ে গেল।