সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে নামার আগের দিন অনেক ঘটা করে শচীন তেন্ডুল্করের (Sachin Tendulkar) মূর্তির উন্মোচন করা হয়েছিল। তবে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মাস্টার ব্লাস্টারের পয়া ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে (Wankhede Stadium) বসানো সেই মূর্তিকে ঘিরে তৈরি হল নতুন বিতর্ক! কিন্তু কেন বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া? আসলে এই মূর্তি দেখে এক্স হ্যান্ডেলে মজা করেছিলেন স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। লিখেছিলেন, ‘বিলকুল আমার মতোই দেখতে, তবে একটু লম্বা!’ অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটারের সেই বার্তা ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, দূর থেকে দেখে তাও শচীনের স্ট্যাচু মনে হলেও মুখটা ভালোভাবে দেখলে মনে হবে যেন স্টিভ স্মিথের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে! অনেকে আবার স্মিথের গণ্ডি ছাপিয়ে তেম্বা বাভুমা এবং ব্রায়ান লারার মুখের সঙ্গে ওই মূর্তির মিল খুঁজে পেয়েছেন। নেটিজেনদের কেউ কেউ তো আবার মজা করে লিখেছেন, ‘জাস্টিস ফর শচীন তেন্ডুলকর।’ যদিও এই ইস্যু নিয়ে শচীন কিংবা মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে দলে ফেরার তাগিদ, তিরুপতি মন্দিরে গেলেন ঋষভ-অক্ষর, দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
শেন ওয়ার্নকে মারা একটি শটের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে মূর্তিটি। ২২ ফুট উচ্চতার মূর্তিটি বানিয়েছেন মহারাষ্ট্রেরই প্রখ্যাত স্থাপত্যবিদ প্রমোদ কাম্বলে। লফটেড ড্রাইভের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছিল এই মূর্তি। সেই অনুষ্ঠানে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন ‘আধুনিক ক্রিকেটের ডন’। তাঁর হাতে মূর্তির একটি রেপ্লিকাও তুলে দেওয়া হয়েছিল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আবার ফিরে এসেছিল ভক্তদের সেই পরিচিত ‘শা-চী-ন, শা-চী-ন’ ধ্বনি।
নিজের মূর্তি দেখে শচীন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘এই ছবিটা আমার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ১০ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে ২৫ জন ভক্তের জন্য ২৪টি উইকেট নিয়ে ঢুকেছিল নর্থ স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্ট্যাচু উন্মোচন। পুরোদস্তুর একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। আমাদের আনন্দসূচক ধ্বনি, আমাদের বন্ধুত্ব এবং বছরের পর বছর ধরে নর্থস্ট্যান্ড গ্যাংয়ের সমর্থন আমি মনে রাখব। ওয়াংখেড়েতে ফ্যান হিসেবে আমি প্রথম পা রেখেছিলাম। সেখান থেকে ১৯৮৭ বিশ্বকাপে বল বয় হিসেবে ওয়াংখেড়েতে পা রেখেছিলাম। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ হাতে তুলেছিলাম এই ওয়াংখেড়েতেই। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলাম এখানেই। এটা একটা পরিক্রমা, ভাষায় যা প্রকাশ করার নয়। এই স্ট্যাচু কেবলমাত্র আমার নয়। এই স্ট্যাচু উৎসর্গ করছি আমার সমস্ত নন স্ট্রাইকার, আমার ক্রিকেট হিরো, প্রতিটি সতীর্থ, প্রত্যেক সদস্য, যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে সবসময়ে, ওরা না থাকলে এই সফর সম্ভবই হত না। ওয়াংখেড়ে এবং ক্রিকেট, তোমরা অত্যন্ত সদয়।’
তবে শচীনের মতো জীবন্ত কিংবদন্তির মূর্তিকে ঘিরে নেট দুনিয়াতে এমন বিতর্ক তৈরি হবে সেটা কে জানত!