সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবে প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড (England) ও নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। এর আগে কাপ যুদ্ধের মঞ্চেও খলিস্তানি (Khalistan) সন্ত্রাসবাদীদের ছায়া। ভারতের মাটিতে আয়োজিত হতে চলা এই বিশ্বকাপে নাশকতার হুমকি দিল খলিস্তানি জঙ্গিরা। নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) প্রতিষ্ঠাতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এটা ক্রিকেটের বিশ্বকাপ নয়, শুরু হতে চলেছে ‘টেরর কাপ’!
১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের (Narendra Modi Stadium) বাইশ গজে আয়োজিত হবে ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’। ভারত বনাম পাকিস্তানের (IND vs PAK) সেই হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগে খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের তরফ থেকে নাশকতার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন হুমকির পরেই শুক্রবার অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর পান্নুনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করল গুজরাট পুলিশ (Gujarat Police)।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি!’ দাবি করলেন বাবরদের সুপার ফ্যান ‘বসির চাচা’]
আহমেদাবাদ পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিসিপি অজিত রাজিয়ান বলেছেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধি, ইউএপিএ এবং আইটি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলিতে পান্নুনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।” এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর, চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১৫-য় অবস্থিত গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের একটি বাড়ি ও জমি বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ।
গুজরাট পুলিশের দাবি, একাধিক সোশাল মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষের মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে শিখস ফর জাস্টিস সংগঠন। গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের রেকর্ড করা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ক্রিকেট কার্নিভালের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে ভয়ের বাতাবরণ। শোনা যাচ্ছে ব্রিটেনের একটি অজানা ফোন নম্বর থেকে কল এসেছে তাঁদের ফোনে। সেই ফোন ধরলেই শোনা যাচ্ছে পান্নুনের রেকর্ড করা একটি অডিও বার্তা।
কী বলা হচ্ছে সেই অডিও বার্তায়? পান্নুন বলেছেন, “শহিদ নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে আমরা আপনাদের বুলেটের বিরুদ্ধে ব্যালট ব্যবহার করব। আমরা আপনাদের হিংস্রতার বিরুদ্ধে ভোটকে ব্যবহার করব। এই অক্টোবরে কোনও বিশ্বকাপ ক্রিকেট হবে না। এটা হবে বিশ্ব সন্ত্রাস কাপের সূচনা হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপ জিতলেই বিরাটের অবসর নেওয়া উচিত!’ কেন এমন চমকে দেওয়া মন্তব্য করলেন এবি ডিভিলিয়ার্স?]
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, শুধু খলিস্তান প্রতিষ্ঠা করা পান্নুনের লক্ষ্য নয়। বরং ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে কয়েক টুকরোয় ভেঙে দেওয়াটাই তার প্রধান লক্ষ্য। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। এবার এই নতুন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।