সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর চেয়ে বোধ হয় সেরা মঞ্চ হয় না। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) নিজেও তাই মনে করেন। ম্যাচের আগে রিকি পন্টিংয়ের (Rickey Ponting) সঙ্গে দেখা। জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান। দেখা গেল ‘বন্ধু’ এবি ডিভিলিয়ার্সের (Ab de villiers) সঙ্গেও। আলিঙ্গন করলেন। ইডেন গার্ডেন্সও (Eden Gardens) আলিঙ্গন করে নিল বিরাটকে। ১৪ বছরের ব্যবধানে ইডেনেই ফের পেলেন ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। আর এটা আর বাকি সেঞ্চুরির মতো নয়। বিশ্বকাপ, সামনে বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa), জন্মদিন, ঐতিহ্যের ইডেন গার্ডেন্স, মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেণ্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) ছোঁয়ার সুযোগ। এক মঞ্চে এতকিছু! প্রত্যাশা পূরণ হল সকলেরই।
এদিন ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকার পরেই চলে এলেন বিশ্বকাপ সম্প্রচারকারী চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে। সেখানে নিজের মাইলস্টোন ইনিংস নিয়ে বিরাট বলেন, “ভারতের হয়ে খেলা সবসময় গর্বের। এরমধ্যে জন্মদিনে এমন মাইলস্টোন গড়া তো স্বপ্নের ব্যাপার। ঈশ্বর সহায় রয়েছেন। তাই এমন মুহূর্ত জীবনে পেলাম। এবং এমন মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য ইডেনের দর্শকদেরও অনেক শুভেচ্ছা।”
[আরও পড়ুন: এভাবেও ঈশ্বরকে ছোঁয়া যায়…, ক্রিকেটের নন্দনকাননেই ওয়ানডে-তে ৪৯তম সেঞ্চুরি কোহলির]
ইডেনের পিচে ব্যাট করা বেশ কঠিন ছিল। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল দ্রুত শুরু করলেও, ৯৩ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। এর পর প্রোটিয়ারা চাপ বাড়াতে শুরু করলেও, চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৪ রান যোগ করেন বিরাট। এমন কঠিন পিচে শতরান করে বিরাট যোগ করলেন, “এমন পিচে ব্যাট করা কঠিন। রোহিত এবং শুভমান শুরুটা খুব ভাল করেছিল। বল থমকে আসছিল। ধীরে ধীরে পিচে স্পিন ধরতে শুরু করে। আমার দায়িত্ব ছিল শেষ পর্যন্ত ব্যাট করা। দল আমাকে তেমনটাই বলেছিল। শ্রেয়সও খুব ভালো খেলল।”
এদিন বিরাটকে তাঁর ৩৫তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। সাজঘরে ঢোকার আগে এহেন ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে দেখা করে গেলেন ক্লান্ত বিরাট কিন্তু অবশেষে স্বস্তি পাওয়া বিরাট।