সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভেজা মাঠে নামতেই চায়নি বাংলাদেশ। জোর করে নামানো হয়েছে।’ ‘ভারত ফেক ফিল্ডিং (Fake Fielding) করায় ৫ রান পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল বাংলাদেশের।’ ভারতের কাছে হারের পর এই জোড়া অজুহাতকে অস্ত্র করেই এবার আইসিসির দ্বারস্থ হতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
গত কয়েকবছর ধরেই ভারত-বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা খেলার মাঠের বাইরের বিতর্কের জেরে শিরোনামে থাকছে। ভারতকে হারাতে না পারার জ্বালা জুড়তে অনেক সময়ই বাংলাদেশের সমর্থকদের দেখা গিয়েছে নানারকম অজুহাত নিয়ে হাজির হতে। কখনও আইসিসি (ICC), কখনও বিসিসিআই (BCCI) আবার কখনও আম্পায়রদের দোষারোপ করার প্রবণতাও নতুন নয়। বুধবারের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের পরও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বাংলাদেশ সমর্থকরা নানা ধরনের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়ে দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশিকা সত্ত্বেও কেন চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না? ফের আদালতে ২৬৯ শিক্ষক]
বাংলাদেশ সমর্থকদের অভিযোগ, ‘ভেজা মাঠে নামতেই চায়নি বাংলাদেশ। ভারতের চাপে আম্পায়াররা দ্রুত খেলা শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন। মাঠ ভেজা ছিল বলেই লিটন দাসকে (Litton Das) রান আউট হতে হয়েছে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ বলাবলি করছেন, ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে হিসেবে গন্ডগোল ছিল। ১৬ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট আরও কম হওয়া উচিত ছিল।’ তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ‘সপ্তম ওভারে নাকি বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ‘ফেক ফিল্ডিং’ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ৫ রান পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল বাংলাদেশের।’ আসলে ম্যাচের সপ্তম ওভারে কোহলি যখন পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন সেসময় তিনি নাকি হাতে বল না থাকা সত্ত্বেও বল ধরে ছোঁড়ার ভঙ্গি করেন। যা ক্রিকেটের ভাষায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে পাঁচ রানের পেনাল্টি হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ব্যাটার নুরুল হাসান এই অভিযোগ করেন ম্যাচ শেষে। কিন্তু ঘটনাচক্রে অন ফিল্ড আম্পায়ররা সেই ঘটনা লক্ষ্য করেননি। লক্ষ্য করলেও সেটা উপেক্ষা করেছেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফেক ফিল্ডিং ইস্যুতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আর তাছাড়া যদি কোনও দল একবার ফেক ফিল্ডিং করেও থাকে, তাতেও সেই দলকে শুরুতেই পেনাল্টি রান দেওয়া যায় না। প্রথমে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়, সেটা না শুনলে পেনাল্টি রান দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ‘নভেম্বর বিপ্লব’, বিজেপির হাজার জন যোগ দেবেন ঘাসফুল শিবিরে]
সূত্রের খবর, সেই নিয়েই নাকি এবার আইসিসির দ্বারস্থ হবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (BCB) কর্তারা। কোহলি ফেক ফিল্ডিং করা সত্ত্বেও ভারত কেন শাস্তি পেল না? আর ভেজা মাঠে কেন তড়িঘড়ি খেলা শুরু করা হল, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে বিসিবির তরফে। বিসিবির অপারেশনাল ম্যানেজার জালাল ইউনুস দাবি করেছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে খেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে যেটা অপ্রত্যাশিত। আমরা টিভিতে সবই দেখেছি। বিরাটের ফেক থ্রো নাকি আম্পায়াররা দেখেননি। আর শাকিব বারবার বলা সত্ত্বেও খেলা শুরুর ব্যাপারে আম্পায়ররা তাঁর কথাকে গুরুত্ব দেননি। আমরা সঠিক জায়গায় সবটা জানাব। বাংলাদেশ ক্রিকেট মহলেরও একাংশের অভিযোগ, বড় দল হওয়ায় বরাবরই বাড়তি সুবিধা পায় ভারত। এখন দেখার আইসিসি আদৌ বাংলাদেশের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেয় কিনা।