সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) প্রায় প্রত্যেকবারই অন্যতম ফেভারিট হয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa)। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে বরাদ্দ থাকে শুধুই একরাশ হতাশা। নামের পাশে এখন চোকার্স ট্যাগটা সেঁটে গিয়েছে। সম্ভবত এবারের বিশ্বকাপই প্রথম, যেখানে ফেভারিটের ধারেকাছে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। অনেকে বলছেন এটা অনেকটা আশীর্বাদের মতো হতে চলেছে টেম্বা বাভুমার টিমের কাছে। কারণ প্রত্যাশার চাপ না থাকায় অনেক চাপমুক্ত হয়ে নামতে পারবেন কুইন্টন ডি’ককরা।
বিশ্বকাপের আগে শেষ তিনটে সিরিজের জয় আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে টিম দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে বাভুমাদের এবার ভোগাতে পারে অভিজ্ঞতার অভাব। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। ফাফ ডু’প্লেসি নেই। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন। ফাইনালে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন। বিশ্বকাপে দলে অবশ্য তিনি নেই। আর এক সেরা তারকা এবি ডে’ভিলিয়ার্স কয়েক বছর আগেই অবসর নিয়েছিলেন। ক্রিস মরিসও এবার নেই। ডু’প্লেসিদের অভাব এবার ভালরকম ভোগাতে পারে বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। তাছাড়া মিডল অর্ডারে ডেভিড মিলার ফর্মের ধারেকাছে নেই। সেটাও টিমের কাছে বড় একটা চিন্তার। তুলনায় বোলিং অনেক বেশি স্বস্তি দেবে। কাগিসো রাবাদা আর আনরিচ নর্ৎজে রয়েছেন। দু’জনেই এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। তাছাড়া সদ্য আইপিএল খেলেছেন। আমিরশাহীর কন্ডিশন সম্পর্কে খুব ভাল করেই জানেন। সঙ্গে তাবারেজ সামসি। এই মুহূর্তে যিনি টি-টোয়েন্টির সেরা বোলার। সবমিলিয়ে ফেভারিট হিসাবে শুরু না করলেও বিশ্বকাপে চমক দক্ষিণ আফ্রিকা কোনও চমক দিতে পারে কি না,সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে দল কিনতে আগ্রহী ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কর্ণধাররা! অপেক্ষায় BCCI]
দল: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি’কক (উইকেটকিপার), বজর্ন ফুরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিক ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, আইডেন মারক্রাম, ডেভিড মিলার, ইউয়ান মালডার, এনগিডি, নর্ৎজে, প্রিটোরেয়াস, কাগিসো রাবাডা, তাবরেজ শামসি, রেসিই ভান ডেট দুসেন।
কোচ: মার্ক বাউচার।
ইতিহাস: পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বরাবর বরাদ্দ থেকেছে হতাশা ও ব্যর্থতা। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে মাত্র দু’বার সেমিফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৯.২০১৪)।
শক্তি: দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শক্তি আনরিখ নর্ৎজে ও কাগিসো রাবাডা। দুই পেসারই বিধ্বংসী ফর্মে আছেন। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রাবাডা ও নর্ৎজে দুরন্ত সমস্ত স্পেল উপহার দিয়েছেন। দু’জনেই আদর্শ গেমচেঞ্জার। দিনের দিনে যাঁরা যে কোনও ম্যাচের ছবি পালটে দিতে পারেন।
দুর্বলতা: ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। এবি ডে’ভিলিয়ার্স কয়েক বছর আগেই অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। ফাফ দু’প্লেসিকে আবার বিতর্কিত ভাবে দলে রাখা হয়নি। এমন মহাতারকা ব্যাটারদের অনুপস্থিতি বড় একটা ফ্যাক্টর হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপে ভারতকে সামনে দেখলেই পাকিস্তানের ঘাড়ে ভূত চাপে’, বিস্ফোরক বিতর্কিত দানিশ কানেরিয়া]
সাম্প্রতিক রেকর্ড: সম্প্রতি মোট চারটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জিতেছে তিনটে ও হেরেছে একটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিরুদ্ধে ৩-২ সিরিজ জয় সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে স্মরণীয় নজির। বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪১ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কোন তারকার উপর নজর থাকবে: কুইন্টন ডি’কক। বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটার। আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন।