ভারত: ১৮১/৮ (সূর্যকুমার ৫৩, পাণ্ডিয়া ৩২, রশিদ খান ২৬/৩, ফারুকি ৩৩/৩)
আফগানিস্তান: ১৩৪ (আজমাতুল্লা ওমরজাই ২৬, বুমরা ৭/৩, অর্শদীপ ৩৬/৩)
ভারত ৪৭ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সুপার এইট অভিযান শুরু করল ভারত। স্কোরবোর্ডে বড় রান না উঠলেও মূলত বুমরাহর দাপটে আফগান ব্যাটিংকে আগাগোড়া চাপে রেখে অনায়াস জয় ছিনিয়ে নিল রোহিত বাহিনী।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত (Rohit Sharma)। কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তিনি (৮) যখন আউট হলেন তখন স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১ রান। মনে হচ্ছিল, তাহলে কি প্রথমে ব্যাট না করলেই ভালো হত। কিন্তু দ্রুত খেলাটা ঘোরাতে শুরু করেন পন্থ। কিন্তু ভালো শুরু করেও অযথা অ্যাডভেঞ্চারার্স হতে গিয়ে তিনি (২০, ৪x৪) রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন।
[আরও পড়ুন: বিচারকের জন্য ট্রেনের আসন ছাড়তে হল সাধারণ যাত্রীকে! হতবাক সকলেই]
আইপিএলে রানের তুবড়ি জ্বালালেও কোহলি (Virat Kohli) এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে রান পাননি। সুপার এইটের লড়াই শুরু হতেই তিনিও ফর্মে ফিরবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। এবারের বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাট থেকে প্রথম ছক্কাটিও আজও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তিনি ২৪ রান করে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়ে গেলেন। স্ট্রাইক রেটও ছিল একশো। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাকি দুই ম্যাচে কিন্তু 'কিং'-এর ব্যাটকে কথা বলতেই হবে।
ছবি: দেবাশিস সেন
শিবম দুবে (১০) আউট হওয়ার পর সূর্যকুমার ও পাণ্ডিয়া চমৎকার লড়লেন। সূর্য ৩৬০ ডিগ্রির দিকে না গিয়ে অনসাইডে ছোট বাউন্ডারি থাকার সুযোগ নিতে বুদ্ধিমানের মতো সুইপ মেরে গেলেন। অনেক পরিণত দেখাচ্ছিল আজ তাঁকে। কিন্তু যখন তাঁকে ভয়ংকর মনে হচ্ছে তখনই তিনি ফিরে গেলেন ৫৩ (৩x৬, ৫x৪) করে। মনে হচ্ছিল হার্দিক হয়তো ঠিকঠাক ফিনিশ করবেন। কিন্তু তিনিও (৩২) ফিরে যান পরের ওভারে। খেলা তখন শেষের দিকে। অক্ষর প্যাটেল ৬ বলে ১২ রান করে স্কোর ১৮১-তে পৌঁছে দেন। আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ খান (২৬/৩) ও ফারুকি (৩৩/৩) দুজনই তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়ে জোর ধাক্কা দেন ভারতীয় ব্যাটিংকে।
[আরও পড়ুন: ঘুমোতে গেলেন পুরুষ, জেগে উঠলেন নারী হয়ে! আশ্চর্য যৌন কেলেঙ্কারি যোগীরাজ্যে]
আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল চমকে দেওয়ার মতো। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই গুরবাজ অর্শদীপকে মাথার উপর দিয়ে তুলে দিলেন। সীমানার আগে একবার মাটি ছুঁয়ে বল সীমানার বাইরে গেল। পঞ্চম বলে হেলায় মিড উইকেট দিয়ে তরুণ পেসারকে একেবারে মাঠের বাইরে ফেলে দিলেন। কিন্তু পরের ওভারেই 'বুম বুম' বুমরাহ এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। পেসের হেরফের ঘটিয়ে বোকা বানালেন গুরবাজকে (১১)।
সেই যে ভারত চাপ দেওয়া শুরু করল, আর ফাঁস কেটে বেরতে পারেননি আফগান ব্যাটাররা। তবে বোলারদের মধ্যে যথারীতি সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বুমরাহই। তিনি ৪ ওভারে দিলেন ৭ রান। একটি ওভার মেডেনও পেলেন। তুললেন তিন উইকেট। অর্শদীপও তিন উইকেট পান। কুলদীপ দুটি। সব মিলিয়ে কোনও সময়ই আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফিরতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। আজমাতুল্লা ওমরজাই (২৬) ছাড়া কোনও ব্যাটারই কুড়ির কোঠা টপকাতে পারেননি। ফলে অনায়াসে ৪৭ রানে জয় ছিনিয়ে নিতে অসুবিধা হল না রোহিতদের।