সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোহলি ব্যর্থ হলেন। আউট পন্থও। এহেন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির চোখরাঙানি সহ্য করে রোহিত-সূর্যর ব্যাটিংয়ে ভর দিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াকু স্কোর খাড়া করল ভারত। ২০ ওভারে রোহিতরা শেষ করলেন ৭ উইকেটে ১৭১ রানে। বৃষ্টিতে খেলা দেরিতে শুরু হল। মাঝখানে ফের বৃষ্টি। সেসব চ্যালেঞ্জ সামলে ভিজে আউটফিল্ডের ঝক্কি কাঁধে নিয়েই লড়লেন রোহিতরা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় ইংল্যান্ড। সেই সময় মেঘ কেটে গিয়ে রোদ উঠেছে। কোহলি (Virat Kohli) ও রোহিত (Rohit Sharma) মারমুখী মেজাজেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু টপলির বলে দুর্দান্ত ছক্কা মারার পর পরই আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হয়ে যান 'কিং'। গোটা টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এল মাত্র ৭৪। অর্থাৎ ইনিংস প্রতি গড় ১১-রও নিচে। কদিন আগেই আইপিএলে যাঁর ব্যাট থেকে রানের বন্যা বইল, তাঁর এই পারফরম্যান্স সত্যিই অভাবনীয়।
[আরও পড়ুন: NEET প্রশ্নফাঁস দুর্নীতি মানলেন রাষ্ট্রপতি, দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা]
ছবি: দেবাশিস সেন।
বিরাট ফিরে গেলেও আগের ম্যাচের মতোই অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন 'হিটম্যান'। শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে ঋষভ পন্থ ফিরে গেলে সূর্যকুমারকে সঙ্গে নিয়ে তিনিই খেলার হাল ধরেন। কিন্তু পিচে সূর্য থাকলেও আকাশের সূর্য ঢাকা পড়ে ঘন মেঘে। বৃষ্টি থামিয়ে দেয় খেলা। অনেকটা সময় ম্যাচ বন্ধ থাকার পর ফের যখন শুরু হয় রোহিতদের একই রকম সপ্রতিভ লাগছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত রোহিত অর্ধশতরান করে ফিরে গেলে (৫৭, ৬x৪, ২x৬) সূর্যও ফেরেন ৪৭ করে। চারটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কার ইনিংসটিও অপূর্ব। তাঁরা আর দুটি ওভারও থাকলে স্কোর বাড়তে পারত।
রোহিত-সূর্যের পরে হার্দিক (২৩), শিবম দুবে (০) পর পর আউট হয়ে যাওয়ায় পরিষ্কার হয়ে যায় খুব বড় স্কোর হচ্ছে না। ভারত শেষ করল ৭ উইকেটে ১৭১ রানে। সৌজন্যে জাড্ডু। রবীন্দ্র জাদেজা ৯ বলে ১৭ করলেন। শেষ ওভারে ছয় মেরে ১৭০-এর গণ্ডি পার করিয়ে দিলেন অক্ষর প্যাটেল। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট পেলেন ক্রিস জর্ডন।
বৃষ্টিভেজা মাঠে লড়াই করার স্কোরটুকু দরকার। সেটুকু রোহিতরা করতে পারলেন কিনা তা পরিষ্কার হবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং শুরু হলে। ফের বৃষ্টি হলে ডাকওয়ার্থ-লুইসের ধাক্কায় রোহিতদের কাজটা আরও কঠিন যেন না হয়ে যায়, আপামর ক্রিকেটপ্রেমী ভারতবাসীর এখন এটাই বোধহয় প্রার্থনা।