shono
Advertisement
Jasprit Bumrah

'সেদিনের ছোট্ট ছেলেটা আজ কিংবদন্তি', বিশ্বজয়ী বুমরাহকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট প্রতিবেশীর

বাবার মৃত্যুর পরে কীভাবে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন তারকা পেসার, লিখেছেন প্রতিবেশী।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 05:33 PM Jul 01, 2024Updated: 05:33 PM Jul 01, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোলে নিয়ে সদ্যোজাত ছেলেটার কান্না থামিয়েছিলেন। সেদিনের সেই ছোট্ট ছেলেটাই আজ বিশ্বজয়ী। দুরন্ত বোলিং করে দেশকে এনে দিয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপ। পুরো বিষয়টা যেন বিশ্বাস হচ্ছে বা দীপল ত্রিবেদীর। ভাবতেই পারছেন না, সেদিনের সেই ছোট্ট লাজুক ছেলেটা আজ বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি বোলার হয়ে উঠেছেন।

Advertisement

ছোট্ট সেই ছেলের নাম জশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। তাঁর ছোটবেলার প্রতিবেশী ছিলেন দীপল। আহমেদাবাদে বুমরাহর পাশের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। তারকা পেসারের দিদি জুহিকার 'গড মাদার' হিসাবে নিজের পরিচয়ও দিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। ছোট্ট বুমরাহর হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সোশাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেছেন দীপল। জানান, ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যেদিন বুমরাহর জন্ম হয়, সেদিন গোটা পরিবারের সঙ্গে তিনিও ছিলেন হাসপাতালে। তাঁর হাতেই সদ্যোজাত জশপ্রীতকে তুলে দেন নার্স। সেই মুহূর্তের কথা মনে করে দীপল বলছেন, "ওই প্রথমবার আমি কোনও সদ্যোজাত বাচ্চাকে কোলে নিয়েছিলাম। মনে হল রোগা লিকলিকে ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।"

[আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে বিবর্ণ মহামেডান স্পোর্টিং, খিদিরপুরের কাছে থেমে গেল সাদা-কালো ব্রিগেড

খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন তারকা পেসার। দিনে ১৬-১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করে তাঁদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বুমরাহর মা দলজিৎ। সেই কঠিন দিনগুলোর কথাও উঠে এসেছে দীপলের আবেগঘন পোস্টে। তিনি লেখেন, "আমাদের সমস্ত আশা ফুরিয়ে গিয়েছিল। বুমরাহর মা দিনরাত পরিশ্রম করত, অনেক সময় আমি বাচ্চাগুলোকে সামলাতাম। জশপ্রীতের জন্য এক প্যাকেট দুধের ব্যবস্থা করাও কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে আমরা একসঙ্গে জীবনযুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি।"

তবে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে আজ ভারতীয় দলের সেরা পেসার হয়ে উঠেছেন বুমরাহ। পড়াশোনায় মন না বসা, প্লাস্টিকের বল নিয়ে অনবরত খেলে যাওয়া সেই ছোট্ট ছেলেটার জন্য দীপল আজ গর্বিত। পেশায় সাংবাদিক দীপল বলছেন, "ঈশ্বর কখনও আমাদের ছেড়ে দেন না। জশপ্রীতের এই লড়াই সকলকে শিক্ষা দেয়, কখনও হাল ছাড়তে নেই।" সেই সঙ্গে তারকা পেসারের জন্য তাঁর বার্তা, "আমি তো ক্রিকেট বুঝি না। ম্যাচও দেখিনি। কিন্তু তোমাকে খুব ভালোবাসি। বিশ্বজয়ের (ICC T20 World Cup 2024) অনেক শুভেচ্ছা রইল তোমার জন্য।" বুমরাহর পরিবারের সঙ্গে নিজের ছবিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন দীপল। নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তারকা পেসারকে নিয়ে এমন আবেগঘন পোস্ট।

[আরও পড়ুন: বার্বাডোজ থেকে চেন্নাই, প্রোটিয়াদের হারিয়ে ভারতেরই জয়জয়কার, ১০ উইকেটে টেস্ট জিতলেন হরমনপ্রীতরা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ছোট্ট বুমরাহর হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সোশাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেছেন দীপল। জানান, ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যেদিন বুমরাহর জন্ম হয়, সেদিন গোটা পরিবারের সঙ্গে তিনিও ছিলেন হাসপাতালে।
  • খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন তারকা পেসার। দিনে ১৬-১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করে তাঁদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বুমরাহর মা দলজিৎ।
  • দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে আজ ভারতীয় দলের সেরা পেসার হয়ে উঠেছেন বুমরাহ। পড়াশোনায় মন না বসা, প্লাস্টিকের বল নিয়ে অনবরত খেলে যাওয়া সেই ছোট্ট ছেলেটার জন্য দীপল আজ গর্বিত।
Advertisement