সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে আর মাস তিনেক। তার পরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বল গড়ানোর কথা। তার আগে মেগা টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে নতুন করে চাপে পড়ে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সে দেশের সাম্প্রতিক হিংসার আবহে শ্রীলঙ্কা এ দল তাঁদের সফর স্থগিত করে দিল। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে দল না পাঠানো নিয়ে বিসিসিআইয়ের যুক্তি আরও জোরাল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত করতে ২৯ নভেম্বর বৈঠকে বসতে চলেছে আইসিসি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। তবে ওয়াঘার ওপারে খেলতে যেতে নারাজ ভারত। সেই কথা আইসিসি-কে জানানোর পাশাপাশি হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দাবিও জানিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। সেক্ষেত্রে ভারতের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে তৃতীয় কোনও দেশে। এর আগে এশিয়া কাপ হয়েছে এই মডেলে। যদিও সেই প্রস্তাবে রাজি নয় পাকিস্তান।
এবার সূচি চূড়ান্ত করতেই শুক্রবার অনলাইন বৈঠকে বসতে চলেছে আইসিসি। আসলে ডিসেম্বরের শুরুতে আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে চলেছেন জয় শাহ। তার আগেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট পুরোপুরি কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। এরই মধ্যে পাক ক্রিকেট সংস্থার সামনে নতুন সংকট। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে নতুন করে হিংসা শুরু হয়েছে। ইসলামাবাদের জেলে বন্দি অবস্থাতেই রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে আন্দোলনে রীতিমতো উত্তপ্ত ইসলামাবাদ। লক্ষ লক্ষ ইমরান সমর্থক এখন রাজধানীমুখী। তাঁদের আটকাতে লাঠি চালাচ্ছে সেনা, দেওয়া হয়েছে 'শুট অ্যাট সাইট' অর্ডার। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছেন হিংসায়।
যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও দেশই এখন সে দেশে দল পাঠানোর আগে দুবার ভাববে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড যেমন সে দেশের এ দলের পাক সফর আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিঃসন্দেহে শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত এবং পাকিস্তানের সাম্প্রতিক হিংসা সে দেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভাগ্যে বড় প্রভাব ফেলবে। এমনিতেই বিসিসিআইয়ের আপত্তিতে ব্যাকফুটে ছিল পিসিবি। এবার যুক্তির লড়াইয়েও পিছিয়ে পড়তে পারে তারা। পাক বোর্ড আইসিসির বৈঠকে দাবি করতে পারে তাঁদের হাতে আরও ৩ মাস সময়। কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টিকবে কিনা সংশয় রয়েছে।