সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেক ব্যাটারের নামের পাশে হাফসেঞ্চুরি। রবিবার বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। শ্রেয়স আইয়ার, কে এল রাহুলের সেঞ্চুরি ছাড়াও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রানের ফুলঝুরি ফোটালেন রোহিত শর্মারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দাপট অব্যাহত ভারতের। ডাচদের বিরুদ্ধে ৪১০ রান করে থামল মেন ইন ব্লু। যদিও বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরি দেখতে পেলেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভালো শুরু করেও ৫১ রানে আউট হয়ে গেলেন কিং।
নেদারল্যান্ডস ম্যাচকে আসলে সেমিফাইনালের প্রস্তুতি হিসাবে দেখছে টিম ইন্ডিয়া। বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে দুর্বল ডাচদের বিরুদ্ধে নামলেও দলে কোনও বদল করেননি। ডাচ বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে শেষ চারের প্রস্তুতি সারলেন ব্যাটাররা। অধিনায়ক রোহিত শর্মার মারকুটে ব্যাটিংয়ের পরে শ্রেয়স শো- রানের পাহাড় গড়ল ভারত। মাঝে উইকেট হারালেও রান তোলার গতি কমেনি। ক্রিজের দুই প্রান্ত থেকে সমানে ছুটেছে রানের ফোয়ারা।
রবিবার টসে জিতে ব্যাটিং নেন রোহিত। প্রথম ওভার থেকেই বোঝা যায়, দ্রুত রান তোলার লক্ষ্য ভারতের। প্রতি ম্যাচেই শুরুর দিকে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ভারত অধিনায়ক। এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নজির গড়েন তিনি। হাফসেঞ্চুরিও হাঁকান। তবে ৫৪ বলে ৬১ রান করেই থামতে হয় হিটম্যানকে। অপর ওপেনার শুভমানের ব্যাট থেকেও আসে ৫০।
মাঠে নেমেই ৫০তম সেঞ্চুরির আশা জাগান বিরাট কোহলি। হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেও ৫৬ বলে ৫২ করে আউট হয়ে যান। তার পরেই চিন্নাস্বামীতে আইয়ার শো। দীপাবলির সন্ধ্যায় শ্রেয়সের ব্যাটেই আতশবাজি জ্বলল। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তারকা ব্যাটার। অপরাজিত থাকলেন ৯৪ বলে ১২৮ রানের ইনিংস খেলে। অন্যদিকে কে এল রাহুলও একই গতিতে রান তুললেন। দুই ব্যাটারের দাপটে চারশো পেরল ভারত। টুর্নামেন্টে প্রথমবার। ভারতীয় হিসাবে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকালেন কে এল রাহুল। মাত্র ৬৪ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেললেন।