সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) খেলতে নামছে আফগানিস্তান (Afghanistan)। কার্যত ঘরের মাঠেই খেলতে নামবেন রশিদ খানরা (Rashid Khan)। কেন? দীর্ঘদিন ভারতের মাঠেই প্র্যাকটিস করত আফগানিস্তানের জাতীয় দল। ফলে ভারতের পরিবেশ, উইকেট ও পিচের চরিত্র সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা। তাছাড়াও প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এশিয়া কাপেও স্রেফ হিসাবের গণ্ডগোলে সুপার ফোরে পৌঁছতে পারেনি আফগান ব্রিগেড। তবে সব মিলিয়ে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে আফগানিস্তান। গত দুই বিশ্বকাপের তুলনায় ভাল পারফরম্যান্স আশা করা করতেই পারেন সেদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
প্রথমেই নজর রাখা যাক বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের স্কোয়াডের দিকে: হাসমাতুল্লা শাহিদি (অধিনায়ক), রহমনুল্লা গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লা জাদরান, মহম্মদ নবি, ইক্রাম আইখিল, আজমাতুল্লা ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুখি, আবদুল রহমান, নবীন উল হক।
শক্তি: আফগানিস্তানের স্পিন বিভাগকে সমীহ করবে সব বিপক্ষ দলই। একাহাতে যেকোনও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন রশিদ খান। বিশ্বকাপে তাঁর সঙ্গী হবেন নবি ও মুজিব। ভারতের ঘূর্ণি সহায়ক পিচে জাদু দেখাতে পারে আফগান স্পিনত্রয়ী। এছাড়াও ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে রয়েছেন গুরবাজ। এছাড়াও রহমত শাহ, হাসমাতুল্লাও ভালো রান পাচ্ছেন। ভারতের মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে একাধিক আফগান ক্রিকেটারের। সেই বিষয়টিও অ্যাডভান্টেজ হিসাবে কাজ করবে।
[আরও পড়ুন: আইএসএলের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচেই ধাক্কা, এগিয়ে থেকেও হার ইস্টবেঙ্গলের]
দুর্বলতা: আফগান দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা ধারাবাহিকতা। টানা প্রত্যেক ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখা যায় না ক্রিকেটারদের মধ্যে। একটি ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করলেও পরের ম্যাচে সেই ফর্ম হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায় আফগান ব্যাটারদের মধ্যে। দলে নবীন উল হক থাকলেও পেস অ্যাটাক সেভাবে নেই বললেই চলে। স্পিনারদের উপর বেশি নির্ভরশীল থাকার ফলে টুর্নামেন্টে সমস্যায় পড়বে আফগানিস্তান। তাছাড়াও খুব বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই এই দলের।
এক্স ফ্যাক্টর: আফগান দলের সম্পদ রশিদ খান। নিয়মিত উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি বিপক্ষের রান তোলার গতি একেবারে আটকে দিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট হাতেও ঝলসে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ঠাণ্ডা মাথায় একাধিকবার ম্যাচ ফিনিশ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারতে দীর্ঘদিন আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাও রশিদকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: রহমনউল্লা গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, নাজিবুল্লা জাদরান,মহম্মদ নবি, আজমাতুল্লা ওমরজাই, ফজলহক ফারুখি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, নবীন উল হক।
সম্ভাবনা: বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার হিসাবে আফগানিস্তানের নাম রাখা যায় না। তবে গত দুবারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এই আফগান দল। ফলে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারে তারা। বিশেষত, টুর্নামেন্টের শেষ দিকে চমকে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের বড়সড় রদবদলও করে দিতে পারেন রশিদ খানরা। তবে সেমিফাইনালের আগেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে আফগানিস্তান, এমনটাই অনুমান করা যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: তিন মহাদেশের ৬ দেশে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ, বড় ঘোষণা ফিফার]