স্টাফ রিপোর্টার: প্রাপ্তবয়স্কদের টিবি টিকা জাতীয় কর্মসূচি হলে ভ্যাকসিন দেবে আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ)।
যক্ষ্মা জাতীয় কর্মসূচি হলেও রাজ্য টাকা পাচ্ছে না। গত বুধবার ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. সুশীল কুমার বিমল এমস’র হিল ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানে ইঙ্গিত দেন, টাকা নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। তবে মিটে যাবে। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, তীব্র আর্থিক সমস্যা থাকলেও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের কোষাগার থেকে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে রোগী স্বার্থে। কিছু দিন আগে আইসিএমআর (ICMR) জার্নাল-এর সম্পাদক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডা.সমীরণ পাণ্ডা সম্পাদকীয়তে এই প্রস্তাব দেন। শুক্রবার সমীরণবাবু এই বিষয়ে সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তাঁর কথায়, “দেশে যে কোনও ব্যাধি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে আইসিএমআর একমাত্র নোডাল সংস্থা। সংস্থা ইতিমধ্যে ঠিক করেছে, বিসিজি অ্য়াডাল্ট রি-ভ্যাকসিন কারা পাবেন।”
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যে ভবানীপুর থানায় এফআইআর, মমতাকে চিঠি শিখ সম্প্রদায়ের]
আইসিএমআর তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় যক্ষ্মা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এই সাতটি জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ। কারা বিসিজির দ্বিতীয় ডোজ পাবেন? ১৮-৬০ বছর বয়স হলে তবেই টিকা দেওয়া হবে। তবে হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, আগে যক্ষ্মা হয়েছিল তবে এখন টিবিমুক্ত, ক্যানসার, কিডনির সমস্যা এবং বয়স্ক ও জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তবেই বিসিজির দ্বিতীয় ডোজ মিলবে। অর্থাৎ ১৮-৬০ বছর বয়স হলেই টিকা মিলবে- এই যুক্তি মানতে রাজি নয় আইসিএমআর।
আইসিএমআর ‘বিসিজি অ্যাডাল্ট রি-ভ্যাকসিন’ নজরদারি করলেও টিবি নিশ্চয় পোর্টাল থেকে রাজ্যগুলি তথ্য নেবে। অর্থাৎ টিবিমুক্তদের ঠিকানা, ফোন নম্বর ওই পোর্টালেই আছে। দেশে ফি-বছর গড়ে ২৮ লাখ নতুন টিবি রোগী পাওয়া যায়। রাজ্যে এই সংখ্যা গড়ে ১.৫ লাখ। মার্চের শুরুতে ন্যাশনাল টিবি কন্ট্রোল আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে আইসিএমআর। ওই আলোচনায় বিসিজি কত ডোজ দরকার তা চূড়ান্ত হবে বলে সূত্রের খবর।