সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক জন করোনা (Corona) আক্রান্ত যদি শারীরিক দূরত্ব মেনে না চলেন তবে ৩০ দিনে তাঁর থেকে ৪০৬ জন সংক্রমিত হতে পারেন। সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে শারীরিক দূরত্ব বিধি এবং মাস্ক পরা অত্যন্ত আবশ্যিক। এই দু’টি বিষয় মেনে না চললে করোনা সংক্রমণ আটকানো কঠিন হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক জন করোনা আক্রান্ত রোগী যদি কোনও রকম শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে না চলেন তবে ৩০ দিনে তাঁর থেকে মোট ৪০৬ জন সংক্রমিত হতে পারেন। আর সংক্রমিত ব্যক্তি যদি ৫০ শতাংশ কম মেলামেশা করেন তবে ওই একই সময়ে (৩০ দিনে) মাত্র ১৫ জন তাঁর থেকে আক্রান্ত হবেন। আর যদি এই মেলামেশা ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়, তবে তাঁর কাছ থেকে সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াইতে নেমে আসতে পারে বলে দাবি করেছেন লব আগরওয়াল।
[আরও পড়ুন: করোনা দুর্ভোগ মোদির জন্যই! অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রের সমালোচনার কড়া জবাব ভারতের]
লব আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এক দিকে যেমন চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে, অন্য দিকে দেখতে হবে ভাইরাস ছড়ানো যতটা সম্ভব আটকানো যায়। আর এর জন্যই সামাজিক দূরত্ব আর মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিষয়। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, মাস্ক যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা না হয়, তাহলেও লাভ নেই। ধরা যাক, এক জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মাস্ক পরেননি। কিন্তু যিনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নন তিনি মাস্ক পরেছেন। তাহলেও তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ থেকে যাচ্ছে। কিন্তু দু’ জনেই যদি মাস্ক পরেন, তবে ভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ দেড় শতাংশে কমে যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশ সংকটে, এখন রাজনৈতিক ঝগড়ার সময় নয়’, স্টারলাইট কারখানা খোলা নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]