সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের জয়সলমীরে ভারতীয় স্বশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে নাম না করে ফের চিনকে হুমকি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেউ যদি ভারতের ক্ষমতা পরীক্ষা করতে চায় তাকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করলেন। এই সমস্ত মন্তব্যের সময় তাঁর সঙ্গে ভারত মাতা কী জয় বলে স্লোগান দিতে শোনা যায় স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও।
শনিবার জয়সলমীরের লোঙ্গেওয়ালায় ভারতীয় স্বশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে দেশের নিরাপত্তার জন্য জওয়ানদের আত্মত্যাগের ভূয়সী প্রশংসা করে ১৩০ কোটি ভারতবাসী সবসময় তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৩০ কোটি ভারতীয় আপনাদের সঙ্গে রয়েছেন। প্রতিটি নাগরিক আমাদের জওয়ানদের শক্তি ও আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত। তাঁরা গর্ব অনুভব করে আপনাদের অদ্যম মনোভাবের জন্য। আমাদের দেশের সীমান্ত রক্ষার কাজে নিয়োজিত বীর সৈনিকদের নিজেদের কর্তব্য করা থেকে পৃথিবীর কোনও শক্তিই আটকাতে পারবে না বলেও সাধারণ নাগরিকরা বিশ্বাস করেন। হিমালয়ের শীর্ষ থেকে মরুভূমির তপ্ত পরিবেশ কিংবা ঘন জঙ্গল থেকে গভীর সমুদ্র, সর্বক্ষেত্রেই আপনারা হার না মানা মনোভাব নিয়ে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেন। তাই গোটা ভারত আপনাদের জন্য গর্ব অনুভব করে। আপনারা আছেন বলেই আমরা প্রতিবছর ধুমধাম করে দিওয়ালি উদযাপন করতে পারি। তাই আজ প্রত্যেক দেশবাসীর তরফে আপনাদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাই।’
[আরও পড়ুন: খুঁতো মোবাইল বদলে দিচ্ছে না সার্ভিস সেন্টার, রাগে নিজের গায়েই আগুন দিলেন ক্রেতা]
বর্তমান ভারত আগের থেকে অনেক বদলে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকের ভারতের নীতি খুব পরিষ্কার। নতুন এই ভারত প্রত্যেকে বুঝতে চায় এবং নিজেদের সম্পর্কেও অন্যদের জানাতে চায়। এর ফলে গোটা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে নিজের স্বার্থের বিষয়ে এই দেশ কোনও মূল্যেই সমঝোতা করবে না। আপনাদের শক্তি ও দক্ষতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। আপনাদের দেশকে সুরক্ষিত রেখেছেন বলেই আন্তর্জাতিক মহল আজ আমাদের সম্পর্কে এই ধারণা পোষণ করে। এর জন্য ভারতও তার প্রতিরক্ষা শক্তি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। দেশবাসীও স্থানীয়ভাবে প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির বিষয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছে।’
এরপরই জওয়ানদের তিনটি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের আমি তিনটি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেব। প্রথমত, উদ্ভাবনী ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের চতুরতারও সাহায্য নিতে হবে। দ্বিতীয়ত আপনাদের যোগাভ্যাস করতে হবে। আর তৃতীয়ত মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য একটি ভাষা ও ইংরেজি শিখতে হবে। এর ফলে নতুন দৃষ্টিকোণের বিকাশ হবে ও উৎসাহ বাড়বে।’