সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। এই ইস্যুতেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে কড়া বার্তা দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সুর চড়িয়ে লালুর উদ্দেশে হিমন্তের বার্তা, না পোষালে তিনি যেন পাকিস্তানে চলে যান। কারণ ভারতে এটা কোনওভাবেই কোনওমতেই সম্ভব নয়।
তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) জানিয়েছিলেন, বিজেপি (BJP) চাইছে দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে শেষ করতে। এই প্রসঙ্গেই লালু জানান, ভারতে মুসলিমদেরও সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া উচিৎ। আরজেডি প্রধানের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে কড়া সুরে আক্রমণ শানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswa Sharma)। তিনি বলেন, লালু যদি মুসলিমদের সংরক্ষণ দিতে চান সেক্ষেত্রে ওনাকে পাকিস্তানে (Pakistan) যেতে হবে। কারণ ভারতের মাটিতে এটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এবং ভারতের আইন যদি লালুর পছন্দ না হয় তবে পাকিস্তানই ওনার জন্য উপযুক্ত দেশ বলে কটাক্ষ করে হিমন্ত।
[আরও পড়ুন: ‘মেরে পাস মোদি হ্যায়’, পাকিস্তানের ‘পরমাণু বোমা’কে কাঁচকলা দেখিয়ে বার্তা শাহের]
এছাড়াও 'মুসলিম বিরোধী' পদক্ষেপে অসমে বিজেপি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, অসমের মাটিতে গজিয়ে ওঠা ৭০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে তাঁর সরকার। ভোট প্রচারের মঞ্চে সাম্প্রতিক পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পসঙ্গও বাদ দেননি হিমন্ত। তিনি বলেন, "যদি এবার নরেন্দ্র মোদি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফের ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে। একইসঙ্গে অযোধ্যার মতো মথুরাতেও তৈরি হবে কৃষ্ণ মন্দির।
[আরও পড়ুন: ভোটের পরই ভোটাদানের তথ্য আপলোডে বাধা কোথায়? কমিশনকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারে বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে বার বার ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের অভিযোগ তুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, দেশের সংবিধানে কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের উল্লেখ নেই। অথচ যে সব রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র মুসলিম তোষণের উদ্দেশে তাঁদের ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। উদাহরণ স্বরূপ, কর্নাটক, কেরলের মতো একাধিক রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। এবার সেই ইস্যুতে সরাসরি মুসলিম সংরক্ষণের দাবিতে লালু সরব হতেই তাঁকে পাকিস্তান যাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী।