সুব্রত বিশ্বাস: করোনা (Corona Pandemic) পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কেবলমাত্র রেলকর্মীদের জন্য চলছে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। তাও হাতে গোনা কয়েকটি। তাতে কেবল চড়ার অধিকার আবার রেলকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরই। এছাড়া আর কেউ ওই ট্রেনে চড়লে এবার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তারও করা হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে রেলের তরফ থেকে।
করোনার প্রকোপে বিধ্বস্ত গোটা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ প্রাণপনে ছুটছে কাজ বাঁচাতে। সড়ক পরিবহণ বন্ধ। স্টাফ স্পেশ্যাল চললেও তাতে চড়ার অধিকার নেই আমজনতার। অধিকার নাই বা থাকল, জীবিকার টানে অনেকেই উঠে পড়ছেন সেই ট্রেনগুলিতে। রাজ্যের অনুরোধেই রেলের তরফে ওই ট্রেনে স্বাস্থ্যকর্মীদের চড়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে আর অন্যেরা চড়তে পারবেন না। আর সেজন্যই এবার রীতিমতো ধরপাকড়ও শুরু করেছে রেল। জানা গিয়েছে, গত তিনদিনে শিয়ালদহ স্টেশনে ওই ট্রেনে ভ্রমণের অপরাধে ৫৩ জন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে আরপিএফ। ওই ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের চড়া আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। ফলে তা আরও কড়া হাতে দমন করা হবে।
[আরও পড়ুন: অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে টানাটানি, আসানসোলে হেনস্থার শিকার রেড ভলান্টিয়ার্স!]
এই প্রসঙ্গে শিয়ালদহ আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট এ ইব্রাহিম শরিফ জানিয়েছেন, ”লকডাউন চলছে। রেলের মেল, এক্সপ্রেস, মালগাড়ি, পার্সেল স্পেশাল চলছে। তা চালাতে রেলকর্মীদের কর্মস্থলে যাবার জন্য ওই ট্রেন। সেই ট্রেনে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া কেউ চড়তে পারবেন না। ফলে অন্য সাধারণ যাত্রীদের আরপিএফ বেআইনি প্রবেশকারী হিসেবে রেল আইনে ১৪৭ ধারায় গ্রেপ্তার করছে।” শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী বাদে যাঁরাই ট্রেন চড়বেন, তাঁরা কার্যত বিনা টিকিটের যাত্রী। এখন লোকালের টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। মান্থলি সিজন টিকিটও ট্রেন বন্ধের দিন থেকে কার্যকর নয়। ওই মান্থলি ট্রেন চালু হলে তা পুর্ণনবীকরণ হবে। ফলে মান্থলি দেখালেও তিনি বিনা টিকিটেই ভ্রমণ করছেন। এটা রেল আইনে অপরাধ। তাই এই গ্রেপ্তারি।