গৌতম সরকার, মেখলিগঞ্জ: বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাব পড়ল কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। এদিন এই জেলার চ্যাংরাবান্ধা (Changrabandha) স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা ছিল অনেকটাই শুনশান। যদিও অনেকেই জানিয়েছেন, শুক্রবার বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এদিনও বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তাই পথঘাট ছিল অনেকটা ফাঁকা। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খোলা থাকলেও মানুষের আনাগোনা খুব একটা দেখা যায়নি।
শুক্রবার বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও, শনিবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ফের বাণিজ্য চলবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে এপার থেকে ওপারে পণ্য পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। অনেক ট্রাকচালকও জানিয়েছেন, ওপার থেকে যে ধরনের খবর কানে আসছে তাতে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গিয়ে কোনও কারণে আটকে পড়লে বা যে কোনও কারণেই বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এদিকে বিএসএফের তরফেও সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ব্যবস্থা অনেকটাই কঠোর করা হয়েছে। বিএসএফের উত্তরবঙ্গের একাধিক অবশ্য জানিয়েছেন, মেখলিগঞ্জ সীমান্ত এলাকাতেও সর্বদা বিএসএফের কড়া নজরদারি রয়েছে। পড়শিদেশের উত্তাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা আরো কঠোর করা হয়েছে।
যদিও চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাব তেমনভাবে এখনও অবধি বোঝা যাচ্ছে না। চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের ওপারে রয়েছে বাংলাদেশের বুড়িমারি স্থলবন্দর এলাকা। সেই স্থলবন্দর এলাকা থেকেও তেমন কোনও অশান্তির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ওপার থেকে হিংসা, অশান্তির নানা ঘটনা ও কথাবার্তা কানে আসছে। যা শুনে কিছুটা হলেও চিন্তা হচ্ছে। তাঁদের অনেকেরই অবশ্য বক্তব্য, বাংলাদেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেকদিন থেকেই বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা পরিস্থিতি চলছে। অনেক পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় ফের উত্তাল পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে।
চ্যাংরাবান্ধা সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিকাশ সাহা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এমনিতেই বাণিজ্য বন্ধ থাকে। তবে ওপার থেকে যে ধরনের খবর কানে আসছে সে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন অনেকেই।’’ বৈদেশিক বাণিজ্যে তেমন প্রভাব এখন অবধি না পড়লেও যাত্রী পারাপার প্রায় বন্ধের মুখে। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যাতো রয়েছেই। তার উপর যাদের আগে ভিসা করা রয়েছে তারাও এই পরিস্থিতিতে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
