শিলাজিৎ সরকার: ২৭ মে, ২০০৮। শেষবারের মতো বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে মাঠে নামেন জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলার অলিভার কান। ৬ জুন, ২০২৪। শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামবেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। দু’টি ঘটনার মিলে যাচ্ছে একটা সূত্রেই। দুই কিংবদন্তির বিদায়স্থলে। যা কিনা যুবভারতী স্টেডিয়াম। ষোলো বছর আগে অলিভার কানের মতো সুনীলেরও বিদায়ী ম্যাচ হবে সল্টলেকেই।
যে শহর থেকেই একসময় উঠে এসেছিলেন সুনীল, যে শহরের তিন-তিনটে ক্লাবে খেলেছেন কেরিয়ারের একটা লম্বা সময়। সঙ্গে এই স্টেডিয়ামে একগুচ্ছ ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। বছর দুয়েক আগে তো এই সল্টলেকেই জয়ের হ্যাটট্রিক করে এএফসি এশিয়ান কাপে (AFC Asian Cup) মূলপর্বের খেলায় যোগ্যতা অর্জন করেছিল সুনীলের নেতৃত্বাধীন ‘টিম ইন্ডিয়া’ (Team India)।
[আরও পড়ুন: ‘সব দলে বুমরাহ-রশিদ নেই’, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে রোহিতের পাশে কোহলি]
শুধু পেশাদার জীবন নয়, ব্যক্তিগত দিকেও সুনীলের সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক অন্য। প্রাক্তন ফুটবলার তথা কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য-কন্যা সোনমের স্বামী হওয়ার সূত্রে যিনি এই শহরের ‘জামাই’! আর এবার জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচটা সেই কলকাতাতেই খেলবেন সুনীল (Sunil Chhetri)। তাঁর অবসরের ম্যাচ নিয়ে শহরে যে বাড়তি উত্তেজনা থাকবে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। নিজের শেষ ম্যাচটা ভারত অধিনায়কের জন্য স্মরণীয় করে রাখতে চায় আয়োজক আইএফএও (IFA)। এক আইএফএ কর্তার কথায়, “সুনীলের মতো ফুটবলার কলকাতায় জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটা খেলছেন, এটা আমাদের জন্যও সম্মানের। আমরা যেভাবে ম্যাচটা আয়োজন করছি, সুনীলের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবল মনে রাখবে।”
[আরও পড়ুন: ‘এখন ভারতের বার্সা আর রিয়াল হল মোহনবাগান-মুম্বই’, স্বীকারোক্তি ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাতের]
তাই সুনীলের শেষ ম্যাচ নিয়ে নানা পরিকল্পনা রয়েছে বঙ্গ ফুটবলের কর্তাদের। তার মধ্যে অন্যতম হল–সুনীলের মুখোশ। আইএফএ কর্তারা আশাবাদী, সুনীল-বিদায়ের আবেগে উপচে পড়বে সল্টলেকের গ্যালারি। আর মাঠে হাজির হওয়া সাধারণ দর্শকদের দেওয়া হবে সুনীলের মুখোশ। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ সেরে ফেলা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোটামুটি ষাট হাজার মুখোশ তৈরি করানো হচ্ছে আইএফএর তরফে। সেটাই বিলি করা হবে ম্যাচের দিন মাঠে আসা সমর্থকদের মধ্যে। ম্যাচ শেষে সুনীলকে সংবর্ধনা দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে কর্তাদের।