সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরাধীন ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ফুটবল পায়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন বাংলার ফুটবলাররা। ১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ড জিতে ইংরেজদের আত্মবিশ্বাসে জোর আঘাত করেছিল মোহনবাগান। আর এবার ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ব্রিটিশভূমে উড়ল সবুজ-মেরুন পতাকা। তবে ইংল্যান্ডের কোনও দলের বিরুদ্ধে নয়, ১৫ আগস্ট লন্ডন সাক্ষী থাকল চিংড়ি বনাম ইলিশের। অর্থাৎ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের। যেখানে শেষ হাসি হাসল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডই।
লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিদের অনেকের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান প্রীতি যে বাংলার ভক্তদের থেকে এক ইঞ্চিও কম নয়, তা আর অজানা নয়। আর তাই ভালসাবার টানেই চিংড়ি-ইলিশের লড়াইয়ের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। ২০১৮ সালে প্রথমবার টেমসের তীরে আয়োজিত হয় ইন্ডিয়ান ফ্যান অ্যালায়েন্স (IFA) শিল্ড UK। আয়োজকদের অন্যতম হলেন অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়। কারা অংশ নেয় এই শিল্ডে? না, ইস্টবেঙ্গল কিংবা মোহনবাগানের জুনিয়র অথবা সিনিয়র দল নয়, বরং দুই প্রধানের সমর্থকদের তরফে খেলে কয়েকটি ফ্যান ক্লাব। ৯০ মিনিটের জন্য় লন্ডনের মাঠ হয়ে ওঠে বাঙালি ফুটবল আবেগের মক্কা। ময়দানের সঙ্গে তখন এর ফারাক করাই দায়।
[আরও পড়ুন: ‘Taliban ক্রিকেট ভালবাসে, কোনও চিন্তা নেই’, রশিদ খানদের আশ্বস্ত করল Afghan বোর্ড!]
কোভিডের কারণে এবার ঠিক হয়েছিল শিল্ড আয়োজিত হবে ১৫ আগস্ট। আপাতত ইংল্যান্ডে অনেকটাই শিথিল করোনাবিধি। তাই ভারতের স্বাধীনতা দিবসকেই ফাইনাল যুদ্ধের জন্য বেছে নেওয়া হয়। তাছাড়া এদিন মোহনবাগানের জন্মদিনও বটে। সেদিক থেকেও আলাদা সেন্টিমেন্ট রয়েছে সবুজ-মেরুন ভক্তদের।
এবার আইএফএ শিল্ডে লাল-হলুদ সমর্থকদের তরফে খেলেছিল তিনটি ক্লাব। প্রদেশে ইস্টবেঙ্গল, রেড অ্যান্ড গোল্ড ওয়ারিয়র্স এবং BADGEB। আর গঙ্গাপারের সমর্থকদের পক্ষ থেকে ময়দানে নামে আন্দুল মেরিনার্স, রক্তে আমার মোহনবাগান এবং মেরিনার্স বেস ক্যাম্প। ফাইনালে পৌঁছয় BADGEB এবং মেরিনার্স বেস ক্যাম্প। আর সেখানেই লাল-হলুদ ফ্যান ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারায় তারা। জন্মদিনে এই জয়ই যেন ছিল মোহনবাগান ক্লাবকে তাঁদের উপহার।