সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে হুড়মুড় করে বাড়ছে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত আক্রান্ত বাড়ার কারণ ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron)। কিন্তু এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কোথায় গিয়ে থামবে মহামারী? আইআইটি (IIT) কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল (Manindra Agarwal) উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়ার মতো কথা জানালেন। তাঁর মতে, দিন দশেক পরে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীর্ষে পৌঁছবে তৃতীয় ঢেউ। জানুয়ারি মাসের শেষে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে ৪ থেকে ৮ লাখ পর্যন্ত। তবে মার্চের পরে তৃতীয় ঢেউ স্তিমিত হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন, সংক্রমণের চূড়ায় মুম্বই ও দিল্লিতে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে যথাক্রমে ৩০ হাজার ও ৫০ হাজার। আগরওয়াল বলেন, ”তৃতীয় ঢেউয়ের শীর্ষে পৌঁছে দেশে ৪ থেকে ৮ লাখে পৌঁছতে পারে সংক্রমণ। লকডাউন তথা কড়া বিধিনিষেধের ফলে সংক্রমণ বাড়তে সময় নিতে পারে, খানিকটা দীর্ঘায়িত হতে পারে মহামারীর ঢেউ। তবে আগেরবারের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি নাও করতে পারে এবার।”
[আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের]
জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে তৃতীয় ঢেউয়ের চূড়ায় পৌঁছবে সংক্রমণ। একথা আগেই বলেছিলেন আইএইচএমই (IHME) ডিরেক্টর ডা. ক্রিস্টোফার মারে (Christopher Murray)।
এদিকে ওমিক্রনে দেশে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে বিভিন্ন রাজ্যের অসংখ্য চিকিৎসকও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে প্রায় ১৭০০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কোভিড কাঁটা, কালীঘাট মন্দির খোলা থাকলেও গর্ভগৃহে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ]
অন্যদিকে অসমের (Assam) বিধিনিষেধে হোটেল-রেস্তরাঁর জন্য কড়া নিয়ম জারি করল অসম সরকার। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া হয়নি এমন কেউ কোনও হোটেল, রেস্তরাঁ, সিনেমা হলে প্রবেশ করলে মাথাপিছু ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট হোটেল, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হলকে।