সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অজিত পওয়ার পদত্যাগ করার পরই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ফড়ণবিসও পদত্যাগ করবেন। সেইমতো তিনিও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, এবং কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। আলোচনা করেন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে। সেই বৈঠক থেকেই ফড়ণবিসকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফড়ণবিস বলেন, “জনাদেশ আমাদের পক্ষেই ছিল। আমরা যে কটি আসনে লড়েছি তার প্রায় ৭০ শতাংশ আসন জিতেছি। শিব সেনা জিতেছিল ৪৪ শতাংশ আসন। তাঁর মানে জনাদেশ বিজেপি-শিব সেনার পক্ষে ছিল। কিন্তু, শিব সেনা বুঝতে পারে তাঁদের কাছে সংখ্যা আছে দরাদরির করার মতো।”
শিব সেনার দাবি খারিজ করে মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভোটের আগে কখনই কথা হয়নি যে, বিজেপি শিব সেনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দেবে। এমনকী প্রচার চলাকালীনও শিব সেনা কখনও মুখ্যমন্ত্বিত্বের দাবি করেনি। আমরা আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট রেখেছিলাম। আমরা শিব সেনার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু, ওঁরা আমাদের সাথে কথা না বলে এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে গিয়েছে। এটা অবাক করার বিষয়, যারা কখনও মাতশ্রী থেকে বেরতো না তাঁরা অন্য দলের কাছে ভিক্ষা চাইল।”
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বড় ধাক্কা বিজেপির, উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা অজিত পওয়ারের ]
ফড়ণবিস আরও বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের যখন সরকার গড়তে ডাকল আমাদের কাছে সংখ্যা ছিল না। আমরা সেটা রাজ্যপালকে জানাই। শিব সেনাকে রাজ্যপাল ডাকে। শিব সেনা এমন ভাব দেখায়, যেন তাঁদের কাছে ১৪৫ জন বিধায়ক আছে। কিন্তু তাঁরা তা প্রমাণ করতে পারেনি। তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। তিনটি এমন দল জোট করেছে, যাদের বিচারধারার ন্যূনতম মিল পর্যন্ত নেই।”
ফড়ণবিসের দাবি, তিনি অজিত পওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। উলটে পওয়ারই নিজে থেকে যোগাযোগ করে তাঁকে সমর্থনের কথা বলেন। তাঁর কথায়,” যখন মহারাষ্ট্রে অনিশ্চয়তা চলছিল, তখন অজিত পওয়ারই আমাদের কাছে আসেন। আমাদের সমর্থনের কথা বলেন। অজিত আমাদের চিঠিও দেন। তারপরই আমরা সরকার গড়ি। আজ যখন আদালত জানাল কালই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। তারপরই অজিত পওয়ার এসে বললেন, আমি এই সরকারে থাকতে পারব না। এবং আমার কাছে পদত্যাগ করলেন। পওয়ারের কথায় আমরা সরকার গড়েছিলাম। আমরা ঘোড়া কেনাবেচা করতে চাই না। পওয়ার নেই, তাই আমাদের কাছেও সংখ্যা নেই। তাই আমি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেব।”
[আরও পড়ুন: ‘আস্থাভোটে আমরাই জিতব’, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দাবি মহারাষ্ট্রের দুই শিবিরেরই]
The post সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ফড়ণবিসের appeared first on Sangbad Pratidin.