শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আবারও মিলল অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) হদিশ। ডিসেরগড়ের পর এবার বেআইনি অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলল আসানসোলের হীরাপুরে। হীরাপুর থানার রহমতনগর নয়াবস্তি এলাকায় অস্ত্র কারখানার খোঁজ পেল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার একটি বাড়ির মাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়। সেখানেই অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পান তদন্তকারীরা। সেই অনুযায়ী ওই বাড়িটিতে যান হীরাপুর থানার পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তবে কতগুলি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বা কোন জাতীয় অস্ত্র তৈরির যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তা এখনই প্রকাশ্যে আনেনি। এমনকি মূল অভিযুক্তর নামও প্রকাশ্যে আনেনি।
[আরও পড়ুন: OMG! পর্ন সাইট PornHub ব্যবহার করে ছাত্রদের অঙ্ক শেখাচ্ছেন শিক্ষক!]
আসানসোল (Asansol) দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জন আটক করা হয়েছে। বাড়ির মালিক মহম্মদ জাভেদ পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পাড়ার মধ্যেই এমন এক বেআইনি কারখানা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক আহমেদতুল্লা খান বলেন, “ওই বাড়ির নীচে গোপন কুঠুরি ছিল তা জানতে পেরেই আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, দেড়মাস আগেই কুলটি থানার বরাকরের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় ২৫টি সেভেন এমএম পিস্তল এবং ৪৬ টি ম্যাগাজিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনায় আস মহম্মদকে নামে স্থানীয় একজন গ্রেপ্তারও করা হয়। সেই সূত্র ধরে প্রথমে ডিসেরগড় এবং হীরাপুরে হানা দেয় পুলিশ। গোপন অভিযানেই অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল।