মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাড়িতে রয়েছে দুটি ট্যাঙ্ক। একটি ছাদের উপরে। অন্যটি নিচে। দেখলে মনে হবে নিচে জল জমা করে তা পাম্পের মাধ্যমে উপরে তোলা হচ্ছে। কিন্তু নিচের ট্যাঙ্কে তালা মারা। আর তাতেই সন্দেহ হয়েছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্তা ও বাগনান এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সমীর সামন্তর। বাড়ির মালিককে দিয়ে চাবি খোলাতেই চিচিং ফাঁক! চক্ষু চড়কগাছ জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের ও সমীর সামন্তর। তাঁরা দেখেন নিচের ট্যাঙ্কে জল জমা হচ্ছে না। পাম্পের লাইন ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে গিয়ে সোজা যোগ হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মূল পাইপলাইনের সঙ্গে। এরপরই ওই ব্যক্তির জলের লাইন কাটা হয়েছে।
সম্প্রতি, একাধিক জেলা থেকে জল চুরির অভিযোগ পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। অভিযোগ পেয়েই প্রশাসনিক কর্তাদের তা রুখতে কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই পথে নামে প্রশাসনের কর্তারা। বাগনান এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেই অভিযোগ আসতে থাকে। কয়েকদিন আগে বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টার উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকা পরিদর্শনে যান বাগনান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সমীর সামন্ত ও প্রশাসনের কর্তারা। বুধবার এই অভিযানে বেশকয়েকটি অবৈধ পাইপ লাইনের সংযোগ কেটে দেয় দপ্তরের কর্তারা। শুধুমাত্র তার বাড়িতে পানীয় জলের জন্য একটি মাত্র লাইন রাখা হয়েছে, যাতে পানীয় জলের সমস্যা না হয়।
দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার সাতজনকে ধরা হয়েছে। বাড়িতে অবৈধ জলের লাইন কাটা হয়েছে। পাশাপাশি, ফের এই বেআইনি কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সমীর সামন্ত বলেন, "বাগনান এক নম্বর ব্লক এলাকার প্রত্যেকটা পঞ্চায়েতে পরিদর্শন করা হবে।"