অভিরূপ দাস: ছোট্ট নির্বাচন ঘিরেও তুমুল অশান্তি কলকাতায়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) কলকাতা শাখার ভোট চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় গন্ডগোলে ব্যাহত ভোটপ্রক্রিয়া (Election)। মাঝপথেই রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ ভোটারদের। উঠল একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। ভোট দেওয়ার সময় শেষ হলেও অনেকে ভোটই দিলেন না আতঙ্কের জেরে। যদিও অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল লেনিন সরণির এই ঐতিহ্যবাহী ভবনে। ভাঙল ভবনের গেট। শনিবার দিনভর এই নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে রইল লেনিন সরণি।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা শাখায় প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট-সহ একাধিক পদে নির্বাচনের জন্য ভোট আজ। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা – এই ছ’ঘণ্টাই ছিল ভোটদানের সময়। ভোটার সংখ্যা ১৭০০। কিন্তু সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৪০০টি। অশান্তির আশঙ্কায় সেখানে দু’জন পদমর্যাদার অফিসার-সহ ৬০ জন পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল লেনিন সরণির আইএমএ ভবনের সামনে। ৩৪ টা পদে লড়াই হয়। সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একদিকে ডাক্তার নির্মল মাজি (Nirmal Maji) এবং তাঁর বিপক্ষে ডাক্তার প্রশান্ত ভট্টাচার্য। সময় একটু এগোতেই শুরু হয় অশান্তি।
[আরও পড়ুন: দাম্পত্য অশান্তির জের, ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ধর্ষণ করানোর পর স্ত্রীকে খুন! গ্রেপ্তার স্বামী]
দুপুর নাগাদ লেনিন সরণির রাস্তা আটকে অবরোধ শুরু করেন আইএমএ-র সদস্যরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যানবাহন। অভিযোগ, যাদের ভোটদানের অধিকার নেই, তাদেরও ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে। এমবিবিএম ডিগ্রি না পেলে আইএমএ-তে ভোট দেওয়া যায় না। কিন্তু প্রথম বর্ষের ছাত্ররাও ভোট দিতে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী ডাক্তার শান্তনু সেন (Santanu Sen) অর্থাৎ আইএমএ-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি নিজের একজন ‘ভুয়ো ভোটার’কে হাতেনাতে ধরেন বলেও জানা যায়।
এদিন ভোট দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চিকিৎসক শশী পাঁজা। তাঁর কথায়, ”যা হচ্ছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। আমি নিজের ভোট নিজেই দিয়েছি।” আরেক চিকিৎসক তুহিন খানের অভিযোগ, ”ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছেন নির্মল মাজি। নিয়ম অনুযায়ী এমবিবিএস পাস করার আগে আইএমএ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায় না। ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র তো এমনকি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরাও জালি পরিচয় পত্র নিয়ে ভোট দিতে ঢুকেছেন।” অভিযোগ, নিজের বিধানসভা আমতা থেকে লোক এনেছেন নির্মল মাজি।