সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েক আগে ফাঁস হয়েছে ইমান খেলিফের গোপন মেডিক্যাল রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, আলজেরিয়ার বক্সারের দেহে পুরুষ ক্রোমোজোম আছে। জরায়ু নয়, ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ রয়েছে তাঁর। তার পর থেকেই সোনাজয়ী বক্সারকে নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ফের আইনি লড়াইয়ের পথে হেঁটেছেন খেলিফে। তাঁর লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে যেভাবে কাটাছেঁড়া চলছে, তার বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকেছেন তারকা বক্সার।
খেলিফেকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ইটালির অ্যাঞ্জেলা কারিনির সঙ্গে ম্যাচের পর। প্যারিস অলিম্পিকের সেই ম্যাচে মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে ম্যাচ ছেড়ে বেরিয়ে যান কারিনি। তার পর সাফ জানান, প্রতিপক্ষের থেকে এমন জোরে আঘাত কোনওদিন পাননি। বিতর্কের আগুন আরও বাড়ে গত বছরের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে। ২০২৩-র বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনার মেডেলের ম্যাচের আগে খেলিফেকে বহিষ্কার করা হয়। কারণ তাঁর দেহে রয়েছে পুরুষদের XY ক্রোমোজোম। XY ক্রোমোজোমের অ্যাথলিটরা মহিলাদের প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন না, এমনটাই বলে বক্সিংয়ের নিয়ম।
তবে বিতর্কের আবহেই অলিম্পিকে ৬৬ কেজি বক্সিং ফাইনালে চিনের ইয়াং লিয়ুকে হারিয়ে সোনা জিতে নেন খেলিফে। দাবি করেন, সারাজীবন তিনি মহিলা হিসাবেই জীবনযাপন করেছেন। কিন্তু অলিম্পিকের মাস দুয়েক পরে আচমকাই ফাঁস হয় খেলিফের মেডিক্যাল রিপোর্ট। সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, খেলিফ মহিলা নন। তাঁর দেহে দু’টি ক্রোমোজোম এবং অভ্যন্তরীণ অণ্ডকোষ রয়েছে। জরায়ুও নেই খেলিফের দেহে। ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। খেলিফের অলিম্পিক্স সোনা কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলছেন অনেকে। তার মধ্যে অন্যতম হরভজন সিং। বিতর্কের মধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, নতুন করে আইনি পদক্ষেপ করছেন খেলিফে। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট ফাঁস হওয়া এবং সেই রিপোর্ট ঘিরে সংবাদমাধ্যমগুলোর কাটাছেঁড়া-সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধেই আদালতে যাবেন আলজেরিয়ার বক্সার। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে আইওএ কোনও মন্তব্য করবে না বলেই জানা গিয়েছে।