নব্যেন্দু হাজরা: বিতর্কের জেরে শেষপর্যন্ত বদলে ফেলা হল দমদম (Dumdum) মেট্রো স্টেশনে থাকা উদ্বোধনী ফলক। যেখান থেকে মুছে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। রেলমন্ত্রী (Rail Minister) থাকাকালীন দমদম-বরানগর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রুট সম্প্রসারণ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্বোধনী ফলকে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষাতে তাঁর নাম ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অযত্নে তা মুছে যায়। সেই খবর ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রথম প্রকাশ্যে আনে। আর তারপরই শোরগোল পড়ে যায় মেট্রোর অন্দরে। অবশেষে চাপে পড়ে বর্ধিত মেট্রো রুটের উদ্বোধনী ফলকে ফিরিয়ে আনা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। শুক্রবার দমদম মেট্রো স্টেশনে বসানো হল নতুন ফলক। তাতে আগের মতো তিনটি ভাষায় খোদাই করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি তদানীন্তন রেলমন্ত্রী হিসাবে দমদম-বরানগর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রুট সম্প্রসারণ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইমতো দমদম স্টেশনের আপ লাইনে একটি উদ্বোধনী ফলক বসানো হয় তাঁর নামে। কিন্তু ওই ফলক থেকে মুছে যায় খোদ মমতার নামই। বাংলা ও ইংরেজি লেখায় সম্পূর্ণভাবে এবং হিন্দিতে ‘ব্যানার্জি’ শব্দটি শুধু টিকে ছিল।
[আরও পড়ুন: জেলে রাত কাটিয়ে গালাগাল ভুললেন রোদ্দুর রায়! পুলিশকে শেখাচ্ছেন ‘মোক্সাবাদ’]
বিষয়টি নিয়ে ‘মেট্রোর ফলক থেকে উধাও মমতা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন গত ৩০ মে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ কাগজে প্রকাশিত হয়। তারপরই মেট্রোর অন্দরে হইচই পড়ে যায়। সমালোচনা শুরু হয় যাত্রী মহলেও। বিষয়টি নজরে আসার পরই এই ফলকটি তুলে নতুন ফলক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার সেটি বদলে দেওয়া হয় মেট্রোর তরফে। ফলকটির বেহাল অবস্থার কথা জানিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছিল মেট্রো রেলের প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (INTTUC)। ফলক বদল প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর বেরা বলেন, “ইউনিয়নের তরফ থেকে সংবাদ প্রতিদিন ও কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।” মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, পুরনোটি খুলে নতুন ফলক যথাস্থানে বসানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হজরত মহম্মদ আজ বেঁচে থাকলে…’, দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই মুখ খুললেন তসলিমা]