ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির ক্লিনিক্যাল অটোপসির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। যা রাজ্যে তো বটেই দেশের মধ্যেও প্রথমবার বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তির কিডনি ও ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করেছিল করোনা ভাইরাস।
তিন সপ্তাহ আগে গণদর্পনের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজ্যে মরনোত্তর দেহদানের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের মৃত্যু হয়। তাঁর ইচ্ছে ছিল, মরনোত্তর দেহ দান করার। কিন্তু সেই সাধ পূরণ হয়নি। তবে তাঁর দেহ ক্লিনিক্যাল অটোপসির জন্য রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্তারা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। রাজ্যে তো বটেই সম্ভবত দেশের মধ্যেও প্রথমবার করোনায় মৃত কোনও ব্যক্তির ক্লিনিক্যাল অটোপসি করার জন্য রীতিমতো তৈরি ছিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। সেই দায়িত্ব বর্তায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের উপর।
[আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ সুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, নিভৃতবাস থেকে বাড়ি ফিরছেন দুপুরেই]
স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির শরীরে কী কী ক্ষতি হয় এটা জানার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে। মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না এটা সত্য। তবে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সেই দেহের ঠিক কতটা ক্ষতি করেছে করোনা ভাইরাস তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় ক্লিনিক্যাল অটোপসিতে। আর সেই কাজই সাধিত হল ব্রজ রায়ের দেহের মাধ্যমে। ব্রজ রায়ের পর আরও ৬টি দেহের অটোপসি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টগুলিও প্রকাশ্যে আসবে। বস্তুত, গণদপর্ণের প্রতিষ্ঠাতার পথে হেঁটেই আরও ৬টি পরিবার তাঁদের নিকটাত্মীয়দের দেহ রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল বিজ্ঞানচর্চা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাহায্যে করোনা ভাইরাসকে কত দ্রুত ঠেকানোর পথ খুঁজে পাওয়া। সেই সমস্ত পরিবারের প্রতি স্বাস্থ্যদপ্তর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।