সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের খবরের শিরোনামে ঢাকার (Dhaka) অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলা। ঢাকা এবং কলকাতা থেকে একাধিক নব্য জেএমবি (JMB) সদস্য ধরা পড়ার পর নারায়ণগঞ্জেও বাড়ল পুলিশি অভিযান। এখানে নব্য জেএমবি’র জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রাতভর তল্লাশি চালায় ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (CTTC)। রবিবার ঢাকা থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক জঙ্গিকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আড়াই হাজার থানার অধীন নোয়াগাঁও এলাকার মিয়াবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই আস্তানায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে ধারণা CTTC-র সদস্যদের। রয়েছে বোমাও। CTTC’র বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিটিটিসির আধিকারিকরা জানান, মামুন নোয়াগাঁও এলাকার একটি মসজিদের ইমাম ছিল। সেই পরিচয়ের আড়ালে সে জঙ্গিদের আশ্রয় ও বোমা তৈরির একটি কারখানা গড়ে তুলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিটিটিসির একজন আধিকারিক জানান, জঙ্গি আস্তানাটি নব্য জেএমবির। গ্রেপ্তার হওয়া মামুন নব্য জেএমবির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে জঙ্গি আস্তানায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক (Explosive) আছে, তাও জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই চলে অভিযান।গা ঢাকা দেওয়া জঙ্গিদের নাগাল না পাওয়া পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলবে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনার কোপ, এবার অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করল বাংলাদেশ সরকার]
এদিকে, কলকাতাতেও রবিবার স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ২ জেএমবি জঙ্গি। তারা সকলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। এই তথ্য সামনে আসার পর বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের শীর্ষ জেএমবি নেতা আল আমিনের সঙ্গে যোগ ছিল ধৃত নাজিউর, রবিউল, সাবিরের। তারা এখানে স্লিপার সেলকে ফের সক্রিয় করে তোলার কাজের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এসেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। মালদহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জেএমবি-র আরও অনেকে। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে তারা। ফলে নাজিউরদের সূত্র থেকে দুই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান জোরদার হয়েছে।