অর্ক দে, বর্ধমান: এক টাকায় এক পোয়া দুধ (Milk)। রাজ্যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে শিশুদের সাহায্যে অভিনব উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) মেমারির পাল্লা রোডে। হার্ড ইমিউনিটি গড়তে, দুধের জুড়ি নেই। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে। আবার করোনা রুখতে রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধের মাঝে গোপালকরা বিপাকে পড়েছেন, বিক্রিবাটা কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাল্লা রোড পল্লিমঙ্গল সমিতি দুস্থ পরিবারের শিশুদের নামমাত্র মূল্যে দুধের জোগান দিচ্ছে। আবার দুগ্ধ উৎপাদকদের কাছ থেকে দুধ কেনায় তাঁদেরও আয়ের সুযোগ মিলছে।
করোনাকালে (Coronavirus) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম আহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে দুধ, ডিম, সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কারণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে বলে আগাম সতর্ক করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু অনেক পরিবারের পক্ষেই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার জোগানো মুশকিল। করোনা আবহে কাজ হারিয়েছে অনেক পরিবার। আয়ে টান পড়ায় শিশুদের মুখে সুষম খাবার তুলে দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, দোকানপাট বন্ধ থাকায় অনেক ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কায় গোপালকদের কাছে দুধ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে দুগ্ধজাত সামগ্রী প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এই পরিস্থিতিতে এলাকার শিশুদের মুখে সুষম আহার তুলে দিতে এগিয়ে এসেছে এই সংস্থা। গোপালকদের কাছে উদ্বৃত্ত দুধ ন্যূনতম মূল্যে কিনে নিয়ে শিশুদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা, জেনে নিন, কী করবেন, কী করবেন না]
পাল্লা রোড এলাকায় শিশুদের জন্য রোজ বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩০০টি পরিবারের কাছে ১ টাকায় এক পোয়া বা ২৫০ মিলিলিটার দুধ পৌঁছে দিচ্ছে তারা। সংস্থার উদ্যোগে এলাকার শিশুদের সুষম আহারের বন্দোবস্ত হওয়ায় খুশি শিশুদের পরিবারের লোকেরা। এছাড়াও বিভিন্ন রোগীর প্রয়োজনে স্বল্পমূল্যে এই ব্যবস্থা মেলায় উপকৃত হচ্ছেন অনেকে। এলাকারই কয়েকজন তরুণ তুর্কি পরিচালিত এই সংস্থা বারবারে নানা উদ্যোগ নিয়ে কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। সংস্থার তরফে সন্দীপন সরকার জানান, প্রতিদিন কুপন দেওয়া হচ্ছে। আপাতত দৈনিক ৩০০ জনকে ১ টাকায় এক পোয়া করে দুধ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এই উদ্যোগ আরও বড় হতে পারে।