রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তোমার দেখা নাই! বৃষ্টি শুরু হলেও এখনও ইলিশের দেখা নেই সমুদ্রে। মাছের আকাল নিয়ে মাঝে মধ্যেই অভিযোগের সুর শোনা যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের গলায়। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। কিন্তু এই আবহেই আশার আলো দেখাল শংকর! দিঘা মোহনায় ধরা পড়ল বিরাটাকায় শংকর মাছ। মৎস্যজীবীদের জালে বন্দি হল ওজনদার তেলিয়া ভোলাও।
মঙ্গলবার দিঘা মোহনায় ৭০ কেজি ওজনের শংকর মাছ ওঠে। এই শংকর মাছ দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরা। অন্যদিকে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলাও উঠল মোহনায়। যা বিক্রি হল ১৮ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে। কয়েকদিন আগেই ১৭টি ট্রলার এক সঙ্গে রওনা দিয়েছিল গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আশংকা ছিল মাছের যোগান নিয়ে!
[আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণে পা-কোমরে চোট মুখ্যমন্ত্রীর, ফোনে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল]
তবে রবিবার মাঝ সমুদ্রে জাল টেনে তুলতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন মৎস্যজীবীরা। দেখা যায়, জালে বন্দি হয়েছে প্রায় ৭০ কেজি ওজনের শংকর মাছ। যা রবিবার বাবা সাহেব পাঁচ নম্বর ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে। দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকায় নিলাম হয়েছে তেলিয়া ভোলা মাছ। প্রেমানন্দ বর্মণ নামের এক ব্যবসায়ী ওই মাছটিকে কেনেন। জানা গিয়েছে, মাছ কিনতে পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সিটের পাশে মলত্যাগ, ফেললেন থুতুও! গ্রেপ্তার যাত্রী]
মৎস্যজীবীদের দাবি, ”এই জাতের মাছের পটকা ক্যাপসুলের খোল বানাতে ব্যবহার হয়। এর চাহিদা বিদেশের বাজারে প্রচুর। কিন্তু এত বড় আকৃতির ভোলা মাছ সবসময় ওঠে না জালে।” দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, “বছরে এমন দু-একটা মাছ জালে ধরা পড়ে! তবে এই বর্ষায় এটিই প্রথম।”