সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাব-হরিয়ানার হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর। ‘মন কি বাত’-এ জানিয়ে দিলেন ভক্তির নামে হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রাম রহিমের অনুগামীদের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদির বার্তা, আইন কোনওভাবেই হাতে নেওয়া যাবে না।
[রাম রহিমকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণে চাপ দেওয়া হচ্ছিল, কবুল প্রাক্তন সিবিআই কর্তার]
রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের একাংশ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল তার অনুগামীরা। তাদের গুন্ডাগিরিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। এতবড় ঘটনার পর কয়েকটি টুইট করা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ডেরা সাচার অনুগামীদের এই তাণ্ডব নিয়ে নরেন্দ্র মোদি কেন চুপ সেই প্রশ্নও উঠেছিল। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, মহাত্মা গান্ধী এবং গৌতম বুদ্ধের দেশ ভারতবর্ষ। যেখানে হিংসার কোনও জায়গা নেই। কোনওভাবেই অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর যে নিশানা ডেরা সাচার অনুগামীরা তা ঠারোঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, আইন হাতে নেওয়া যাবে না। অপরাধীদের ছাড় নেই। প্রত্যেকেই আইন মেনে চলতে হবে।
[এক মাসে ৫২টি শিশুর মৃত্যু, অপুষ্টির কারণ দেখিয়ে দায় এড়াল সরকারি হাসপাতাল]
বস্তুত, গত শনিবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাম রহিমের ভক্তদের তাণ্ডবে বহু মানুষের মৃত্যুর পর নরেন্দ্র মোদিকে ঘুরিয়ে তাঁর কর্তব্য মনে করিয়ে দিয়েছিল আদালত। আদালতের বার্তা ছিল উনি বিজেপির নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, সবাইকে নিয়ে চলাই প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য। এর আগে দেশের নানা প্রান্তে গো-মাংস গুজবে পরপর গণপিটুনি ও মৃত্যুর ঘটনার পর মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একইভাবে মন কি বাতে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও এই প্রবণতায় লাগাম পরানো যায়নি। মোদির এদিনের বার্তা কতটা ফলপ্রসূ হয় তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। রবিবারের মন কি বাতে গণেশ চতুর্থীর জন্য দেশবাসীকে তিনি শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক উৎসবের কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে তিনি বেশ কিছু কথা বলেন। আসন্ন অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপ সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
The post ভক্তির নামে হিংসা বরদাস্ত নয়, বেতারে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.