সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভরদুপুরে এক বৃদ্ধকে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারছে তাঁরই পরিবারের সদস্যরা। আঘাত পেয়ে বারবার চিৎকার করছেন, তবুও মার থামছে না। শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধের। গোটা ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওড়িশায় এহেন নৃশংস অপরাধের পরে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) কোরাপুটে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কুরশা মানিয়াকা। ছেলের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাগের মাথায় ছেলের বাড়ির অ্যাসবেস্টসের ছাদ ভেঙে দিয়েছিলেন কুরশা। সেই অপরাধের শাস্তি দিতে হবে বলে মনে করেন কুরশার ছেলে। তারপরেই বাড়ির কাছেই ইলেকট্রিক পোলে তাঁকে বেঁধে ফেলে কুরশারই ভাই, ছেলে এবং পুত্রবধূ।
[আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুদণ্ডের জন্যই বেড়েছে ধর্ষণের পর খুনের প্রবণতা’, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
এরপরেই শুরু হয় বেধড়ক মার। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, অল্পবয়সি এক মহিলা এবং পুরুষ লাঠি হাতে ক্রমাগত মারছেন ওই বৃদ্ধকে। আরও দেখা যাচ্ছে, আঘাত সহ্য করতে না পেরে বাঁধা অবস্থাতেই বারবার পা সরিয়ে নিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কুরশা। কিন্তু তাতে মারের তীব্রতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। যন্ত্রণায় কুরশা বারবার চিৎকার করলেও মার থামায়নি দু’জন। প্রচণ্ড আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। তারপরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তিন অভিযুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারাই কুরশার শেষকৃত্য করেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আপাতত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার। তল্লাশির জন্য বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।