সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজদীপ সরদেশাইয়ের পর এবার বিপাকে খ্যাতনামা সাংবাদিক বরখা দত্ত। ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ বরখা দত্ত-সহ মোট আট টুইটার হ্যান্ডলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে উন্নাওয়ে দুই দলিত কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, কৃষক মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো টুইট করায় কিছুদিন আগে রাজদীপ সরদেশাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এই ঘটনায় বরখা দত্তের অ্যাকাউন্ট ছাড়া বাকি সাতটি অ্যাকাউন্টের হ্যান্ডলার হলেন-জনজাগরণ লাইভ, আজাদ সমাজ পার্টির মুখপাত্র সূরয কুমার বউধ, নীলিম দত্ত, বিজয় আম্বেদকর, অভয় কুমার আজাদ, রাহুল দিওয়ারকার এবং নওয়াব সৎপাল টানয়ার। উত্তরপ্রদেশের কোতয়ালি পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
[আরও পড়ুন : হোটেল থেকে উদ্ধার দাদরা ও নগর হাভেলির সাংসদের দেহ, আত্মহত্যা বলে অনুমান]
Saএ প্রসঙ্গে এএসপি বিনোদ কুমার পাণ্ডে বলেন, “এই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।” এফআইআর-এ বলা হয়েছে, উল্লেখিত টুইটারের হ্যান্ডেলগুলিতে ওই মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রমাণ করেছে ধর্ষণ হয়নি। একই সঙ্গে এই হ্যান্ডেলগুলি ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেয় যে উন্নাও পুলিশ হাথরাস পুলিশের মতোই পরিবারের সম্মতি ছাড়াই দুই মৃত মেয়ের শেষকৃত্য করেছে l
পুলিশি অভিযোগ নিয়ে বরখা দত্তের প্রতিক্রিয়া, “ভয় দেখানোর জন্য এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র সাংবাদিক হিসেবে একটা ঘটনার সমস্ত দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমি ভয় পাই না। লড়াই করার জন্য প্রস্তত আছি।”
[আরও পড়ুন :রাজ্যের থেকে অনেক বেশি কর কেন্দ্রের! পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে কাঠগড়ায় মোদি সরকার]
প্রসঙ্গত, খেত থেকে তিন দলিত কিশোরীর অচেতন দেহ উদ্ধার হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় কিশোরী মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে জেলা হাসপাতালে। ওই কিশোরীদের পরিবারের দাবি, বিষ (Poison) প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের শরীরে।