সম্যক খান, মেদিনীপুর: কথা কাটাকাটির জের। অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা কন্যার মাথায় কাঠ দিয়ে মেরে খুনের (Murder) মতো নৃশংস অভিযোগে গ্রেপ্তার বাবা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার সাতবাঁকুড়া গ্রামের (Incident at Garbeta, West Midnapur)। রবিবার রাতে এই ঘটনার পরপরই বাবাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে গড়বেতা থানার পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। গড়বেতার আমলাশুলি গোলবাঁধি গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীর পরিবার তার প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এও জানা যায় যে ছাত্রী দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant)। তার বাবা একথা জানার পর থেকেই মেয়ের উপর রেগে গিয়ে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। বকাবকি, মারধর চলতই। সেসব থেকে মা তাকে আগলে রেখেছিলেন। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে মায়ের সঙ্গে সাতবাঁকুড়া গ্রামের মামারবাড়িতে এসেছিল ওই ছাত্রী। সেখানেই কয়েকদিন থাকার পরিকল্পনা ছিল। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার আচমকাই সেখানে হাজির হয় বাবা ননীগোপাল মাজি। মেয়েকে ফের বকাবকি করতে শুরু করেন। তার প্রেম এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়া প্রসঙ্গেই তর্কবিতর্ক চলছিল।
[আরও পড়ুন: ‘ডাইনিকে পাড়াছাড়া করা হোক’, দেবতা ‘ভর’ করা মহিলার নিদানে তুমুল অশান্তি আউশগ্রামে]
জানা গিয়েছে, রাতের দিকে কথা কাটাকাটির মাঝেই উত্তেজিত হয়ে মেয়ের মাথায় চ্যালাকাঠ দিয়ে মারে বাবা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী। বাড়িতে স্বভাবতই হাহাকার পড়ে যায়। খবর পৌঁছয় গড়বেতা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় মৃতা ছাত্রীর বাবা ননীগোপাল মাজিকে।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী, মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় ধরিয়ে দিল অপরাধীকে]
ছাত্রীর মা জানিয়েছেন যে মেয়ে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সেই নিয়ে তার বাবা লাগাতার অশান্তি করত। কিন্তু এভাবে যে বাবার হাতে মেয়ে খুন হয়ে যাবে, তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারছেন না কেউ। যদিও মেয়েটির প্রেমিকের কোনও হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। পরিবার বিশেষত তার মা-ও এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য দেননি। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবাকে গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। তাতেই গোটা বিষয়ের জট কাটবে বলে আশা তাঁদের।
The post নাবালিকা মেয়ে ‘অন্তঃসত্ত্বা’ জানতে পেরেই পিটিয়ে খুন, গড়বেতার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা appeared first on Sangbad Pratidin.