স্টাফ রিপোর্টার: ২০১১ সালের পর এই রাজ্যের কৃষকদের আয় বাম আমলের থেকে ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, দিল্লির কাছে ৫.৭৩ লক্ষ টন সার চাওয়া হয়েছিল। মিলেছে মাত্র ৭৫ হাজার টন।
এদিন কৃষিমন্ত্রীর কাছে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কৃষকের সংখ্যা এবং কৃষকবন্ধু ভাতা ও কৃষি পেনশন প্রাপকের সংখ্যা জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী জানান, ওই জেলার ৭.৭৫ লক্ষ কৃষকের মধ্যে ৭.৩২ লক্ষ কৃষক কৃষিবন্ধু ভাতা পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ৫.৭১ লক্ষ পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী রাজ্যে সার নিয়ে কালোবাজারি চলার অভিযোগ করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে শোভনদেব জানান, ‘‘আমাদের দপ্তর কড়া নজর রেখেছে। কোনওরকম বেআইনি সার মজুতের খবর পেলেই হানা দিচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: ‘মাছ কম কেন?’, অন্নপ্রাশনের দিনই মাকে ‘মার’, সন্তানকোলে আত্মহত্যার চেষ্টা বধূর]
এর পরই রাজ্যে গত তিন বছর ব্যবহৃত সারের হিসাব দিয়ে এ বিষয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তোলেন। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, রাজ্যে ১.৩২ লক্ষ কিমি বিদ্যুতের তার পাতা হয়েছে। যা নজিরবিহীন। পাশাপাশি কাটোয়ায় এনটিপিসি যে ৬০০ একর জমি নিয়ে ফেলে রেখে দিয়েছে, সেটি অধিগ্রহণ করে নিজেরাই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষুদ্র সেচে সৌরশক্তি ও ভূপৃষ্ঠের জলকে ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা।