সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিসাব বহির্ভূত অর্থের অভিযোগে কংগ্রেসকে আয়কর দপ্তর আগেই একাধিক ক্ষেত্রে নোটিস পাঠিয়েছে। তা নিয়ে বিরোধীদের উত্তাপ স্তিমিত হওয়ার আগেই এবার সিপিএম-এর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪.৮ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হল।
জানা যাচ্ছে, কোচিতে ইডি-র অফিসে সিপিএমের ত্রিশূর জেলার সম্পাদক এমএম ভার্সিকে করুণাভান্নুর সার্ভিস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অর্থ তছরুপ মামলায় জেরা করছিলেন অফিসাররা। তখনই তাঁরা আরও কিছু বিশেষ তথ্য পান। তার ভিত্তিতেই অপারেশন চালায় আয়কর দপ্তর। ত্রিশূরে সরকারি ওই ব্যাঙ্কটির একটি একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি ১ কোটি টাকা তোলা হয়েছে দেখার পরই নড়েচড়ে বসেন আয়কর দপ্তরের অফিসাররা।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নয়, বাংলায় ১ নং বিজেপি! লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের]
এক আয়কর আধিকারিক বলেন, "ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ১৯৯৮ সালে সিপিএমের ত্রিশূর জেলা কমিটির নামে খোলা হয়েছিল। পরে পার্টির আইটি রিটার্নের কাগজ মিলিয়ে আমরা দেখতে পাই যে, এই অ্যাকাউন্টটির কথা দলের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ৪.৮ কোটি টাকা রয়েছে। আমরা আপাতত অ্যাকাউন্টটিকে ফ্রিজ করেছি।" এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে শীঘ্রই। অ্যাকাউন্ট থেকে সাম্প্রতিক সময়ে এবং অতীতে কী কী আর্থিক লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আর এই ব্যাঙ্কের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই রাজ্যে আরও কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা এভাবে আয়কর দপ্তরের থেকে গোপন করা হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের টাকা খরচের উৎস, অ্যাকাউন্ট ইত্যাদির উপর নজর রেখেছে আয়কর দপ্তর। টাকার হিসাব দিতে না পারলে প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তদন্তের উত্তরে সিপিএম যদি লুকানো অ্যাকাউন্টটির টাকা লেনদেন সম্পর্কে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারে তবে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।