সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য মঙ্গলে নেমেছে নাসার মহাকাশযান ‘পারসিভিয়ারেন্স’ (Perseverance)। এর মধ্যেই লালগ্রহের রহস্য উদঘাটন করতে ছ’চাকা নিয়ে তরতরিয়ে ছুটছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রোভারটি। সেখান থেকে মৃত নদী ও গিরিখাতের একাধিক ছবি পাঠিয়েছে যানটি।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীর ওজোন স্তরে ফাটল ধরাতে পারে চিন! অশনি সংকেত গবেষকদের]
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা উড়িয়ে জেজেরো ক্রেটারে নেমেছে ‘পারসিভিয়ারেন্স’। তারপর থেকেই পাথুরে, এবড়োখেবড়ো এবং উঁচু উঁচু পাহাড়ে ভরতি এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছে রোভারটি। উদ্দেশ্য, মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান করা। মঙ্গলের ওই অঞ্চলে মৃত নদীর অবশেষ ও গিরিখাত রয়েছে। সেগুলির ছবি তুলে পৃথিবীতে নাসার গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠিয়ে দিয়েছে রোভারটি। জানা গিয়েছে, স্কাইক্রেন পদ্ধতি অনুসরণ করে ছয় ইঞ্জিনের জেটপ্যাকের মদতে গতি কমিয়ে আলতো করে মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে ‘পারসিভিয়ারেন্স’। সাত মিনিটের সেই অবতরণ প্রক্রিয়া নিয়েই চিন্তায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা। যদিও তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারে নামতে সফল হয় রোভারটি। ‘পারসিভিয়ারেন্স’-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যাদাম স্টেলজনার জানিয়েছেন, অবতরণের সময় মঙ্গলের জমি থেকে প্রায় ২ মিটার অর্থাৎ ৬ ফুট উচ্চতা থেকে গ্রহটির গিরিখাত ও গহ্বরের ছবি তুলে নেয় রোভারটি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মহাকাশযান ‘আমাল’ ঢুকে পড়ে মঙ্গলের কক্ষপথে। বুধবার লালগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে চিনা মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1 )। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলো মাইল ফলক ছুঁতে চায় বেজিং। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানের প্রথম ধাপ এদিন পেরিয়ে গেল তারা। আগামী মে মাস পর্যন্ত সেটি চক্কর কাটবে কক্ষপথে। তারপরে রোভার আলাদা হয়ে গ্রহটির পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানে জীবনের চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করবে। কিন্তু মঙ্গলজয়ের দৌড়ে জয়ী হয়েছে আমেরিকা।