ভারত: ৩৪৫/১০ (গিল-৫২, শ্রেয়স-১০৫, জাদেজা-৫০, সাউদি-৬৯/৫)
নিউজিল্যান্ড: বিনা উইকেটে ১২৯ (ল্যাথাম ৫০*, ইয়ং ৭৫* )
২১৬ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ভারত (India) করল ৩৪৫ রান। টেস্টে অভিষেককারী শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাট কথা বলায় ভারত সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি রানে পৌঁছতে পারে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে দেখিয়ে দিল কানপুরের বাইশ গজে মোটেও জুজু নেই। ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলাররা বিষ ঢালতে পারলেন না। উলটে তাঁদের শাসন করলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার।
দুই কিউয়ি ওপেনার টম ল্যাথাম ও উইল ইয়ং খুব সহজেই ভারতীয় বোলারদের সামলালেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ১২৯। ল্যাথাম ৫০ রানে এবং ইয়ং ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। ভারতের কোনও বোলারই অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি কিউয়ি ওপেনারদের।
[আরও পড়ুন: IND v NZ: কানপুরের ২২ গজে বিধ্বংসী সাউদি, ৩৪৫ রানে শেষ ভারতের প্রথম ইনিংস]
প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ছিল চার উইকেটে ২৫৮ রান। ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। শ্রেয়সের ব্যাট কথা বলে। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শ্রেয়স সেঞ্চুরি করলেও বাকিরা কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। চোটের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়েছিল শ্রেয়সকে। চোট সারিয়ে ফিরেছেন তিনি। একটা সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে মিডল অর্ডারের জন্য ভাবা হত। ব্যাট হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলেও পাঁচদিনের ফরম্যাটে তাঁর জায়গা হয়নি এতদিন।
২০১৭ সালে দেশের হয়ে খেলা শুরু করলেও টেস্ট ফরম্যাটে জায়গা পেতে শ্রেয়সের লেগে যায় চার বছর। কানপুরে সেঞ্চুরি করে শ্রেয়স দেখিয়ে দিলেন জাত ব্যাটসম্যান যে কোনও ফরম্যাটেই খেলতে দক্ষ। প্রথম দিনের শেষে বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারলে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি পাবেন।কিন্তু টেনশন কাজ করছিল তাঁর মনের ভিতরে। সেই কারণে রাতে ভাল করে ঘুম হয়নি শ্রেয়সের। দ্বিতীয় দিনের শেষে তিনি বলেন, ”প্রথম দিন থেকে যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ এগিয়েছে, তাতে আমি খুশি। গতকাল আমি গোটা রাত ঘুমোতে পারিনি। সুনীল গাভাসকর আমাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। বলেছেন, খুব বেশিদূরের কথা ভাবার দরকার নেই এই মুহূর্তে। অতীতের কথাও ভাবার প্রয়োজন নেই। বর্তমানেই থাকার পরামর্শ দেন গাভাসকর। তাঁর পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করেছি। রাতের ঘুমটা ঠিকঠাক হয়নি ঠিকই কিন্তু মাঠে নেমে সেঞ্চুরি পাওয়ার অনুভূতিটা দারুণ।” শ্রেয়সের মতো যে কেউই এমন সেঞ্চুরি করতে চাইবেন অভিষেক টেস্টে।
কিউয়িদের ইনিংসে ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই উইকেট তুলতে পারলে শ্রেয়সের প্রতি সুবিচার করা হত। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ব্যাট করার সময়ে কানপুরের বাইশ গজ বোলারদেরই বধ্যভূমি হয়ে ওঠে। অথচ টিম সাউদি কিন্তু সকালে জ্বলে ওঠেন। তিনি একাই পাঁচটি উইকেট নেন। জেমিসন তিনটি এবং অ্যাজাজ প্যাটেল ২টি উইকেট নেনে। বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন। তিনি করেন মাত্র ১ রান। টেল এন্ডারদের মধ্যে রবি অশ্বিন (৩৮) ছাড়া বাকিরা কেউই রুখে দাঁড়াতে পারেননি। ফলে ভারতও ৩৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি প্রথম ইনিংসে। ম্যাচে ফিরতে হলে তৃতীয় দিনের সকাল থেকেই উইকেট তুলতে হবে অশ্বিনদের।