সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফরম্যাট যাই হোক। চোট সারিয়ে কামব্যাক করার পর থেকে দারুণ ফর্মে রয়েছেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপার হিসেবেও নজর কেড়েছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) ইউটিলিটি ক্রিকেটার। তবে এবার আরও কঠিন লড়াই। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। সবাই জানে ঘূর্ণি পিচেই খেলতে চাইছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আর তাই শোনা যাচ্ছে কেএল রাহুলকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবেই খেলানো হবে। সেক্ষেত্রে কোনা শ্রীকর ভরতের (KS Bharat) কিপিং করার সম্ভাবনা প্রবল।
এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টেও দারুণ কিপিং করেছিলেন কেএল রাহুল। কিন্তু কেন তাঁকে এবার কিপার হিসেবে দেখা যাবে না? শোনা যাচ্ছে এই ইস্যুতে পুরো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। আসলে ঘূর্ণি পিচে বেন স্টোকসদের (Ben Stokes) জব্দ করতে ভারতীয় দলের ভরসা রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin), রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ও অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel)। এমনকি এই তিন স্পিনারের সঙ্গে দলে রয়েছেন কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। যিনি আবার অনেক দিন পর টেস্ট দলে ফিরেছেন। আর তাই একজন স্পেশালিষ্ট উইকেটকিপারের কথা চিন্তাভাবনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
[আরও পড়ুন: ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে!’, টি-২০ দলে বিরাট-রোহিতের কামব্যাক নিয়ে যুবরাজের বড় মন্তব্য]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা বলেন, “ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘূর্ণি উইকেটে খেলতে চায় ভারত। আর তাই স্পিনার বোঝাই করে গড়া হবে প্রথম একাদশ। আমাদের দলে একাধিক ম্যাচ উইনার স্পিনার রয়েছে। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। সেজন্যই উইকেটের পিছনে বিশেষজ্ঞ কিপারকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি থেকে হায়দরাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। খেলা হবে বিশাখাপত্তনমে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজকোটে শুরু তৃতীয় টেস্ট। চতুর্থ টেস্ট রাঁচীতে। খেলা হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। ৭ মার্চ থেকে ধর্মশালায় পঞ্চম টেস্ট শুরু দুদলের।
গত ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে ফিরেছিলেন কেএল রাহুল। যা ছিল আক্ষরিক অর্থে রাজকীয় কামব্যাক। এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। শুধু তাই নয়। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি একদিনের ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৫৮ ও ৫২ রান। কাপযুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অজিদের বিরুদ্ধে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারত। তবে বিরাটের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৬৫ রান যোগ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন কেএল রাহুল। শুধু তাই নয়। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র ৬৪ বলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। যা বিশ্বকাপে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শতরান। ফলে ১১ ম্যাচে ৪৫২ রান করেছিলেন। একইসঙ্গে কিপার হিসেবে ১৬টি ক্যাচ ধরার পাশাপাশি ১টি স্টাম্প করেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১০১ রান। ভারত টেস্ট হারলেও, কেএল রাহুল নিজের কাজটা করেছিলেন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনি কীভাবে এগিয়ে যান, সেটাই দেখার।