ইংল্যান্ড, প্রথম ইনিংস: ২১৮/১০ (ক্রলি ৭৯, কুলদীপ ৫/৭২, অশ্বিন ৪/৫১)
ভারত, প্রথম ইনিংস: ৪৭৭/১০ (শুভমান ১১০, রোহিত ১০৩, দেবদত্ত ৬৫, সরফরাজ ৫৬, যশস্বী ৫৭, শোয়েব ৫/১৭৩)
ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯৫/১০ (রুট ৮৪, অশ্বিন ৫/৭৭, বুমরাহ ২/৩৮, জাদেজা ১/২৫, কুলদীপ ২/৪০)
ভারত এক ইনিংস ও ৬৪ রানে জয়ী
৪-১ ব্যবধানে ভারতের সিরিজ জয়
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের (England) খেল খতম! বেন স্টোকসের (Ben Stokes) দলের বিরুদ্ধে এক ইনিংস এবং ৬৪ রানে পঞ্চম টেস্ট জিতল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এবং এই জয়ের সঙ্গেই ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’-কে ক্লাবস্তরে নামিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজে নাম লেখাল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দল। কেরিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে নেমে দুই ইনিংসেই স্পিন ম্যাজিক দেখালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichanran Ashwin)। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন নিলেন ৭৭ রানে ৫ উইকেট। মূলত তাঁর কাছেই নতজানু হয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল সাহেবদের ব্যাটিং। তবে হারলেও ৮৪ রান করে একাই লড়লেন জো রুট (Joe Root)।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে শেষ করতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব। নিয়েছিলেন ৭২ রানে ৫ উইকেট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন অশ্বিন। ফলে ২১৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। এর পর ব্যাট করতে নেমে ৪৭৭ রান তুলে দেয় ভারত। শুভমান গিল করেন ১১০ রান। রোহিতও শতরান করেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৩ রান। এমনকি দেবদত্ত পারিক্কল (৬৫) ও সরফরাজ খানও (৫৬) বাইশ গজে ঝড় তুলে দেন। ফলে ৪৪৭ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস।
[আরও পড়ুন: সিরিজ জয়ের আনন্দের মধ্যেও রোহিতকে নিয়ে চিন্তিত টিম ম্যানেজমেন্ট! কিন্তু কেন?]
ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিড ছিল ২৫৯ রানের। সেই রান ইংল্যান্ড টপকাতে পারবে কি না সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শনিবার মধ্যাহ্নভোজের আগেই ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল সাহেবরা। বিপক্ষকে একের পর এক ধাক্কা দেন অশ্বিন। শনিবার সকাল থেকে ভারতীয় বোলিংকে নেতৃত্ব দেন তিনিই। নতুন বল তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। অশ্বিন নিজের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট তুলতে শুরু করেন। সেখানেই ব্যাকফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড। আর তাই হল। শেষ দিকে বুমরাহের আগুনে পেসে ছাই হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
এই টেস্ট খেলতে নামার আগেই সিরিজ জিতে গিয়েছিল ভারত। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। ধরমশালায় জেতার জন্য এবার ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৪-১। ফলে এই জয়ের সুবাদে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত যে আরও ভালো জায়গায় পৌঁছে গেল, সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।