স্টাফ রিপোর্টার: স্টেডিয়ামে ৭৫ শতাংশ দর্শক রাখা যাবে। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই খবর। যা শোনার পর, সিএবি কর্তাদের কেউ কেউ বলছিলেন, তাহলে আসন্ন ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি (IND vs WI T20) সিরিজে দর্শক রেখে ম্যাচ করা নিয়ে আর কোনও সংশয় রইল না। কিন্তু সিএবি কর্তারা যতই দর্শক রেখে ম্যাচ করার কথা বলুন না কেন, সেটা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে ভালরকম অনিশ্চয়তা রয়েছে। বোর্ডের তরফ থেকে সংবাদ প্রতিদিন-কে সোমবার বিকেলে জানানো হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে (West Indies Series) কোনওভাবেই দর্শক থাকছে না। আহমেদাবাদেও নয়। ইডেনেও নয়।
আসলে বোর্ড প্রাথমিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের যে সূচি ঘোষণা করেছিল, তাতে ছ’টি শহরে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপর দেশের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির জন্য বোর্ডকে আবার নতুন করে সূচি তৈরি করতে হয়। বলা হয়, ছ’টি শহরে ম্যাচ করতে গেলে ক্রিকেটারদের অনেক ট্রাভেল করতে হবে। সেটা অনেক বেশি ঝুঁকির হয়ে যাবে। ঠিক হয়, দু’টো শহরে সিরিজের সব ম্যাচ হবে। আহমেদাবাদে ওয়ান ডে । টি-টোয়েন্টি হবে ইডেনে। তখনও বোর্ডের তরফ থেকে কেউ কেউ জানিয়ে দেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সব ম্যাচ দর্শকশূন্য হবে। বোর্ড কোনওরকম ঝুঁকি নেবে না।
[আরও পড়ুন: বেশ কিছু ক্ষেত্রে আরও ছাড় দিয়ে রাজ্যে বাড়ল কোভিড বিধির মেয়াদ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
এখন যেহেতু রাজ্য সরকার দর্শক রেখে ম্যাচ করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে, তাই সিএবি কর্তারা আশা করছেন, ৭৫ শতাংশ দর্শক রেখে ম্যাচ করতে কোনওরকম অসুবিধা হবে না। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেন, “রাজ্য সরকার যে ৭৫ শতাংশ দর্শক রাখার অনুমতি দিয়েছে, তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। আমরা নভেম্বরেও দর্শক রেখেই ম্যাচ আয়োজন করেছি। কোনওরকম সমস্যা হয়নি।”
কিন্তু বোর্ডে খবর নিয়ে জানা গেল, দর্শক রেখে ম্যাচ করার অনুমতি দিলে, অন্যান্য রাজ্য সংস্থাগুলো আপত্তি জানাতে পারে। কারণ কোভিডের (COVID-19) জন্য ঝুঁকি কমাতেই দু’টো শহরে ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দর্শক রেখে ম্যাচ করলে, ঝুঁকির পরিমাণ তো বেড়ে যাবে। তাহলে আর দু’টো শহরে ম্যাচ করে কী লাভ হল? এক্ষেত্রে অভিষেকের বক্তব্য হল, “বোর্ড এখনও আমাদের কিছু জানায়নি। ঝুঁকি কমানোর জন্য ফ্লাইট ট্রাভেলের কমানোর কথা বলা হয়েছিল। দর্শকের কথা কিছু বলা হয়নি।”
বোর্ডে খবর নিয়ে এটাও জানা গেল, কর্তারা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চান না। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরই আবার শ্রীলঙ্কা সিরিজ রয়েছে। তাই দর্শক রেখে ম্যাচ করতে ঝুঁকি বাড়িয়ে কী লাভ। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে সিএবি বোর্ডের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সেটা আদৌ কার্যকর হবে কী না, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে।