বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে কোন স্ট্র্যাটেজিতে এগোনো হবে? বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কী কী এজেন্ডা নেওয়া হবে, এই সব নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। যদিও এবারের বৈঠক হবে ভারচুয়াল। তবে শেষ মুহূর্তে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তৃণমূলের তরফে কেউ যোগ দিতে পারবেন না বলেই খবর।
চব্বিশের রোডম্যাপ তৈরি করতে ইতিমধ্যেই একাধিক শহরে বৈঠকে বসেছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। শেষবার দিল্লিতে গত মাসে হয়েছিল বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার শেষ মুহূর্তে ভারচুয়াল বৈঠক ডাকা হয়েছে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কারও না থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে খবর। তবে ইন্ডিয়া জোটের বাকি শরিকরা ভারচুয়াল বৈঠকে অংশ নেবে বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য কেন ২২ জানুয়ারিকেই বেছে নেওয়া হল?]
রবিবার থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু রাহুল গান্ধীর। তার আগে তড়িঘড়ি এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে, মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। প্রথমত, কোন রাজ্যে কী হিসাবে আসন ভাগাভাগি হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই বিহারের আসনরফা কার্যত চূড়ান্ত। বাকি রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে কী অবস্থান নেওয়া হবে, তা আলোচনার অন্যতম মূল বিষয়। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কী কী এজেন্ডা নিয়ে এগোনো হবে, তা নিয়েও হবে আলোচনা। তৃতীয়ত, ইন্ডিয়া জোটের আহবায়ক কে হবেন? তাও চূড়ান্ত হতে পারে এই বৈঠকে। আপাতত আহবায়ক হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নাম উঠে এসেছে।
লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনা করছেন রাহুল গান্ধী। পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারত অর্থাৎ মণিপুর থেকে শুরু করে মুম্বই পর্যন্ত যাত্রাপথ। যা খবর, এই যাত্রাপথ যে রাজ্য দিয়ে এগোবে, সেখানকার ইন্ডিয়া জোটের শরিকরাও যাতে অংশ নেন, তার জন্যও আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই কাজটিও এই ভারচুয়াল বৈঠকে করা হবে।