সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত সংঘাত মেটানোর পথে আরও একধাপ এগোল ভারত-চিন। সূত্রের খবর, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুই দেশ। দীপাবলি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সীমান্তে মিষ্টি বিলি করবে ভারতীয় সেনা। দিনকয়েক পরেই স্বাভাবিক নজরদারি শুরু হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ একমত হয়। মোদির সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ”গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।” তিনি আরও জানান, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। চিনের তরফেও একই কথা জানানো হয় বিবৃতি জারি করে।
তার পরেই গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে পর্যন্ত সীমান্তে স্রেফ টহলদারি চালাত দুই দেশ। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে বাড়তে থাকে। সেনা মোতায়েন করে ভারত-চিন। এমনকি অস্থায়ী ছাউনি-সহ নানা নির্মাণও দেখা যায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাজুড়ে। তবে সেই সমস্ত কিছুই সরিয়ে নিতে একমত হয়েছে দুই দেশ।
সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়েছে। খুব শীঘ্রই ডেমচক এবং দেপসাংয়ে শুরু হবে স্বাভাবিক টহলদারি। বুধবারই দুপক্ষের তরফে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। কীভাবে কোন এলাকায় নজরদারি চলবে সেই নীল নকশাও তৈরি করছেন গ্রাউন্ড কমান্ডাররা। সামরিক তৎপরতা কমিয়ে বৃহস্পতিবার দীপাবলি উদযাপনে মেতে উঠবেন সীমান্তের সেনা জওয়ানরা। মিষ্টি বিতরণ করা হবে চিনা সেনার কাছেও।