দেবাশিস সেন, দুবাই: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে নাকি ঘটবে অঘটন? আরও একবার বিশ্বকাপের ২২ গজে বিজয়ঝাণ্ডা ওড়াবে ভারত নাকি ইমরান খানের জাদুমন্ত্রে জ্বলে উঠবেন সবুজ জার্সিধারীরা? সুপার সানডের হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। যে চর্চায় শামিল ভারত ও পাকিস্তানের দুই অতি জনপ্রিয় জাবরা ফ্যান সুধীর চৌধুরী এবং বশির চাচা। স্টেডিয়ামে পা রাখার আগে শঙ্খ বাজিয়ে হুঙ্কার দিলেন সুধীর। উলটোদিকে পাকিস্তানকেই বাজি ধরলেন বশির (Bashir Chacha)। আর তাতেই শুরু হয়ে গেল বাকযুদ্ধ।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ফের মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। দু’দিন আগে থেকেই দুবাইয়ে ম্যাচ ঘিরে চড়েছে উত্তেজনার পারদ। আর সেই উত্তেজনায় গা ভাসিয়েছেন দুই মুলুকের দুই ভক্তও। মরুদেশে আগেভাগেই পৌঁছে গিয়েছেন সুধীর ও বশির চাচা। আর মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতেই মাঠের বাইরের লড়াইটা শুরু হয়েই গেল। বশির চাচার দাবি, বিশ্বকাপে ভারতকে পাকিস্তান কখনও হারাতে পারেনি ঠিকই, তবে এবার নতুন ইতিহাস লেখা হবে। ফিরবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্মৃতি। বাবর আজমের হাত ধরেই নজির গড়বে পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: ‘বাবর প্রচুর কথা বলছে, ভারতের শক্তি ও জানে?’, একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট যোগিন্দর শর্মা]
ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন সুধীরও। বলে দিচ্ছেন, “প্রতিবারই মওকা আসে। আর চলেও যায়। কখনওই স্বপ্নপূরণ হয় না। এবারও হবে না। শেষ হাসি হাসবেন বিরাট কোহলিই। আপনি বরং দিওয়ালি অফারটা নিন। যেখানে একটা টিভির সঙ্গে আর একটা মিলবে বিনামূল্য। অন্তত একটা ভাঙার জিনিস তো পাবেন।”
সুধীরকে পালটা দেন বশির চাচাও। “এবার আমরা জিতব। আর জিতে তোমায় মিষ্টি খাওয়াব। এবার টিভি ভাঙার প্রশ্নই উঠছে না।” এর উত্তরে সুধীর বলছেন, “মিষ্টি তো অবশ্যই খাব। তবে ভারতের জয়ের মিষ্টি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সফর শুরুই হয়েছিল তোমাদের হারিয়ে। তারপর বিশ্বকাপে ভারতের কাছে প্রতিবারই পরাস্ত হয়েছে পাকিস্তান। আরও একবার হবে।” এরপরই বশির চাচার গলায় মিনতির সুর, “ভাই, আমরা তোমাদের চারে টিভি দেব। মিষ্টিও খাওয়াব। এবারটা ছেড়ে দাও।” কিন্তু এমন প্রস্তাবে তো মোটেই রাজি নন সুধীর। উলটে ভারতের জয় প্রার্থনা করে বশির চাচার কানের কাছে জোর শঙ্খ বাজিয়ে দিলেন তিনি। আর এভাবেই জমে উঠেছে মেগা লড়াইয়ের পরিবেশ। যে যুদ্ধ আত্মসম্মানের, উত্তেজনার, ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার।